বিক্ষোভের মুখে ব্যাপক সামাজিক সংস্কারের ঘোষণা তিউনিশিয়ায়
তিউনিশিয়ায় বিরোধীদের টানা বিক্ষোভের মুখে দেশটিতে ব্যাপক সামাজিক সংস্কার আনার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইন আল আবিদিন বেন অালীর ক্ষমতাচ্যুতির সপ্তম বার্ষিকীর দিন রোববারও বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার মানুষ।
সরকারি কর্মকর্তারা জরুরি বৈঠকের পর বলেছেন, দরিদ্রদের সহায়তা বৃদ্ধি, আবাসন ও চিকিৎসা খাতে সংস্কার আনতে পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব দাখিল করা হয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতে দেশটিতে সীমিত নতুন বাজেট কার্যকর করার পর মূল্য-সংযোজন ও সামাজিক কর বৃদ্ধি পায়। এর জেরে গত কয়েকদিন টানা বিক্ষোভ করেছেন তিউনিশিয়ার নাগরিকরা। বিক্ষোভ সহিংস হয়ে উঠায় দেশটির বেশ কয়েকটি শহরে সেনা মোতায়েন করা হয়। বিক্ষোভ থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৮০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গত বছরের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানায়, বাজেট ঘাটতি কমিয়ে আনতে তিউনিশিয়ার জরুরি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
দেশটিরে ক্ষমতাসীন সরকার বেকারত্ব, দারিদ্রতার হার কমিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছে। ২০১৫ সালে দেশটিতে বিদেশি পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলায় পর্যটনে ব্যাপক ধস শুরু হলেও পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটানোর লড়াইও ব্যর্থ হয়েছে।
চলতি বছরের বাজেটকে শেষবারের মতো দেশের জন্য কঠিন হিসেবে উল্লেখ করে জনগণকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ চাদ। কিন্তু তার এই আশ্বাসে আস্থা রাখতে পারেনি তিউনিশিয়ানরা; তারা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
শনিবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র খলিফা চিবানি বলেছেন, সপ্তাহজুড়ে বিক্ষোভের সময় সহিংসতা, চুরি ও লুটপাটের দায়ে ৮০৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিক্ষোভে দেশটির আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর অন্তত ৯৭ সদস্য আহত হয়েছেন। তবে বিক্ষোভকারীদের কতজন আহত হয়েছেন সেব্যাপারে তথ্য দেননি তিনি।
তিউনিশয়ায় ব্যাপক ধর-পাকড়ের নিন্দা জানিয়ে শুক্রবার এক বিবৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা।
এদিকে, তিউনিশিয়ার প্রেসিডেন্ট বেজি সাইদ এসেবসি বিক্ষোভকে অতিরঞ্জিত করে বিদেশি গণমাধ্যম তুলে ধরছে বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, বিদেশি গণমাধ্যম তার দেশের ভবিমূর্তি নষ্ট করছে।
সূত্র : বিবিসি।
এসআইএস/এমএস