বদলাচ্ছে না মার্কিন ভিসা নীতি, স্বস্তিতে ভারতীয়রা
যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত ভারতীয়দের জন্য সুখবর। এইচ-১বি ভিসা আইনে এখনই কোনও রদবদল ঘটাচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসী পরিষেবা দফতর (ইউএসসিআইএস)। এর ফলে, হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন প্রায় সাড়ে সাত লাখ ভারতীয়, যারা পেশাগত কারণে সেখানে রয়েছেন। এইচ-১বি ভিসা আইনে তারা যে সব সুযোগ সুবিধা পান তা কেড়ে নেওয়া হলে এখনই যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হতো তাদের।
গত ডিসেম্বরে মার্কিন সংবাদমাধ্যমের একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, শীঘ্রই এইচ-১বি ভিসা আইনে রদবদল ঘটাতে চলেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। ওই রিপোর্টগুলি প্রকাশিত হওয়ার পরেই সেখানে কর্মরত ভারতীয় পেশাদাররা চিন্তায় পড়ে যান।
ওই ভিসা সংক্রান্ত আইনে রদবদলের খবরকে মঙ্গলবার সম্পূর্ণ ভুয়া বলে জানিয়েছে ইউএসসিআইএস। দফতরের মুখপাত্র জোনাথন উইদিংটন একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এমন কোনও প্রস্তাবের কথাই ভাবছে না ট্রাম্প প্রশাসন।
প্রতি বছর জেনারেল ক্যাটেগরিতে ৬৫ হাজার বিদেশিকে এইচ-১বি ভিসা দেয় ইউএসসিআইএস। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ওই ধরনের আরও ২০ হাজার ভিসা ইস্যু করে মার্কিন প্রশাসন।
ইউএসসিআইএস-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পুরো বিশ্ব থেকে এইচ-১বি ভিসার জন্য আবেদনের বেশির ভাগটাই আসে ভারত থেকে। ২০০১ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত এইচ-১বি ভিসা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন ৮৯ লাখ ২৮ হাজার ১৪ জন ভারতীয়। এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন প্রায় সাড়ে সাত লাখ ভারতীয় পেশাদার।
নির্বাচনী প্রচারে মার্কিন নাগরিকদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে বার বার জোর দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতায় আসার পরেও ‘বাই আমেরিকান, হায়ার আমেরিকান’ নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি। তবে এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত বিদেশি তথা ভারতীয় পেশাদাররা বিপাকে পড়বেন বলেই আশঙ্কা দেখা দেয়।
এইচ-১বি ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা থাকলে তার জন্য স্বামী বা স্ত্রী দু’জনেই আবেদন করতে পারতেন। তবে গত মাসে মার্কিন সংবাদমাধ্যমের একাংশ দাবি করে, মার্কিন নাগরিকদের স্বার্থে শীঘ্রই ওই সুবিধা কেড়ে নিতে চলেছে ওয়াশিংটন।
জোনাথন অবশ্য বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘বাই আমেরিকান, হায়ার আমেরিকান’ নীতি কার্যকর করতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে রদবদল ঘটানোর কথা ভাবা হচ্ছে। এমনকী, কাজের জন্য ভিসা নীতিও পুনর্বিবেচনা করা হবে। তবে চাপের মুখে পড়ে এইচ-১বি ভিসা নীতিতে বদল করা হবে এমন কোনও রিপোর্ট প্রকাশিত হলে তা একেবারেই ভুয়া খবর।
টিটিএন/আইআই