মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের বিকল্প নেই : আরসা
রাখাইনের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে রক্ষা করার জন্য মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় যে সহিংসতা চলছে তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কোনো বিকল্প নেই। তবে তাদের দাবি, রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যতের উপর প্রভাব ফেলতে পারে এমন সব সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আলোচনা করা হবে।
রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সংগঠন অারাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যরা গত ২৫ আগস্ট রাখাইনের সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর ৩০টির বেশি তল্লাশি চৌকিতে একযোগে হামলা চালায়।
এর জেরে রোহিঙ্গা মুসলিম অধ্যুষিত উত্তরাঞ্চলের রাখাইনে বিদ্রোহীবিরোধী অভিযান শুরু কেরে দেশটির সেনাবাহিনী। অভিযানে ব্যাপক সহিংসতা ও জ্বালাও-পোড়াওয়ে সাড়ে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়েছে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এই অভিযানকে জাতিগত নিধনের চেষ্টা হিসেবে চিহ্নিত করে নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমার সরকার জাতিসংঘের এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
আগস্টের অভিযানের পর রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের ছোট এই বিদ্রোহীগোষ্ঠী কোনো ধরনের হামলা চালায়নি। তবে গত শুক্রবার রাখাইনের প্রত্যন্ত একটি গ্রামে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ট্রাকে হামলা চালিয়েছে রোহিঙ্গারা। প্রথমে স্থল মাইন বিস্ফোরণের পর সেনাবাহিনীর ট্রাক লক্ষ্য করে গুলিও চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির সরকার। এতে অন্তত ছয় সেনাসদস্য আহত হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে আরসার নেতা আতা উল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বার্তায় বলা হয়েছে, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে রক্ষা, পুনর্বাসন এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘বার্মার রাষ্ট্রীয়-সন্ত্রাসবাদ’ মোকাবেলা করার কোনো বিকল্প নেই।’
‘মানবিক সহায়তা ও রাজনৈতিক ভবিষ্যতকে প্রভাবিত করতে এমন সব সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করা হবে।’
শুক্রবার মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওপর হামলার দায় নিলেও এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়নি রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের এ সংগঠন। মিয়ানমার সরকারের এক মুখপাত্র বলেছেন, দুই দেশের সরকার বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করলেও তা বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে বিদ্রোহীরা।
মুখপাত্র জ্য হতে বলেন, যারা ফিরে আসার চিন্তা করছে তাদের ভীতি প্রদর্শন করাই আরসার উদ্দেশ্য। এছাড়া এ অঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা নেই বলেও তারা রোহিঙ্গাদের বোঝানোর চেষ্টা করছে।
সূত্র : রয়টার্স।
এসআইএস/পিআর