ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

আসাম থেকে বাঙালি বিতাড়ন : আগুন নিয়ে খেলছে বিজেপি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:২০ পিএম, ০৪ জানুয়ারি ২০১৮

ভারতের অাসামে নাগরিকত্ব আইনের নামে বাঙালি বিতাড়নের চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি একে ‘আগুন নিয়ে খেলার শামিল’ উল্লেখ করে নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপি সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বীরভূমে এক সমাবেশ থেকে তিনি ওই হুঁশিয়ারি দেন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে বৃহস্পতিবার সংসদ চত্বরে অবস্থিত গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তৃণমূল এমপিরা অাসামে নাগরিকত্ব ইস্যুতে বিক্ষোভ করেন। তৃণমূল এমপিরা বিভিন্ন দাবিসম্বলিত পোস্টার প্রদর্শনসহ কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে অবস্থানে শামিল হন। তৃণমূল এমপিরা ‘জাতীয় নাগরিক পঞ্জিতে ১ কোটির বেশি নাগরিকের নাম বাতিল কেন?’, ‘বিজেপি আগুন নিয়ে খেলছে, ভারতের জন্য যা বিপদ’ ইত্যাদি লেখা সম্বলিত পোস্টার তুলে ধরে বিক্ষোভ দেখান।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপিকে দেখুন। এখন অাসাম থেকে বাঙালি খেদাওয়ে নেমেছে। ৩০/৪০ বছর ধরে যারা রয়েছেন, এখন নাগরিকত্ব আইনের নামে তাদের তাড়ানোর চেষ্টা চলছে। সব মিলিয়ে ১ কোটি ২৫ লাখ মানুষকে সেখান থেকে বিতাড়নের চক্রান্ত শুরু হয়েছে!’

তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘মনে রাখবেন আমাদের লোকজনকে যদি তাড়াতে শুরু করেন, তাহলে আমরা ছেড়ে কথা বলব না। অাসাম আমাদের প্রতিবেশী রাজ্য হওয়ায় সেখানে গোলযোগ সৃষ্টি হলে, এ রাজ্যেও তার প্রভাব পড়বে।

অাসাম বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা মিশন রঞ্জন দাস অাসাম থেকে বাঙালি তাড়ানো সংক্রান্ত মমতার দাবিকে মিথ্যাচার বলে মন্তব্য করেছেন। তৃণমূল কখনোই অাসামের বাঙালিদের স্বার্থে এগিয়ে আসেনি বলেও তার দাবি। জাতীয় নাগরিক পঞ্জির খসড়া তালিকা সম্পর্কে হোজাইয়ের বিজেপি বিধায়ক শিলাদিত্য দেব অভিযোগ করেছেন, প্রথম খসড়ায় বহু বাংলাদেশি মুসলিমের নাম আছে। যাদেরকে আইনি বৈধতা দেয়া হয়েছে।

তার এ ধরনের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন এআইইউডিএফ বিধায়ক আনোয়ার হোসেন লস্কর। তিনি অবিলম্বে শিলাদিত্যকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। বিধায়ক আনোয়ার হোসেন লস্কর বলেন, নাগরিক পঞ্জি নবায়নে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছেন হোজাইয়ের বিধায়ক। তার এ রকম মন্তব্যে বিদ্বেষের পরিবেশ সৃষ্টি হবে। পার্সট্যুডে।

এসআইএস/পিআর

আরও পড়ুন