ইউনেস্কো থেকে বেরিয়ে গেল ইসরায়েল
জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো থেকে বেরিয়ে যেতে আনুষ্ঠানিকভাবে নোটিশ জারি করেছে ইসরায়েল। এর আগে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে জাতিসংঘের এই সংস্থা থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও।
পূর্ব জেরুজালেমে দখলদারিত্বের অভিযোগে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সংস্থাটির সমালোচনার মুখে পড়ে ইসরায়েল। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনকে ২০১১ সালে ইউনেস্কোর পূর্ণ সদস্যপদ দেয়ায় সংস্থাটির প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে আজুলে নাম প্রত্যাহারে ইসরায়েলি সিদ্ধান্তে গভীর দুঃখপ্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘১৯৪৯ সাল থেকে ইউনেস্কোর সদস্যরাষ্ট্র ইসরায়েল। জাতিসংঘের এই সংস্থার ভেতরে থেকেই সমস্যা সমাধানের অধিকার আছে ইসরায়েলের।’
ইউনেস্কো থেকে বেরিয়ে যেতে গত অক্টোবরে নোটিশে স্বাক্ষর করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ইউনেস্কো থেকে বেরিয়ে যাবে। একই সঙ্গে ইউনেস্কোর বিকল্প হিসেবে পর্যবক্ষেক মিশন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবে তারা।
ইসরায়েল বিরোধীদের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট উল্লেখ করে সংস্থাটির মৌলিক কাঠামোতে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন বলে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ইউনেস্কো থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়ার পর বলেছেন, জাতিসংঘের এই সংস্থাটি ‘অথর্বদের নাট্যশালায়’ পরিণত হয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতে জাতিসংঘের এ সংস্থাটি পশ্চিম তীরের হেবরনের ওল্ড টাউনকে মুসলিম, ইহুদি ও খ্রিষ্টান তীর্থযাত্রীদের পবিত্র স্থান হিসেবে ফিলিপাইনের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এর জেরে ইসরায়েলে ব্যাপক প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়।
সূত্র : আল-জাজিরা, টাইমস অব ইসরায়েল।
এসআইএস/আইআই