ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

‘বিজেপি’র বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:৪৯ এএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বিজেপি ভারত থেকে মুছে যাওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা মাত্র। তিনি শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় দলীয় এক সমাবেশে দেয়া ভাষণে ওই মন্তব্য করেন।

কেন্দ্রীয় সরকারের আনা ফিন্যান্সিয়াল রেজুলিউশন অ্যান্ড ডিপোজিট ইনসিওরেন্স (এফআরডিআই) বিলের প্রতিবাদে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যে গুজরাটকে সামনে রেখে নরেন্দ্র মোদি (প্রধানমন্ত্রী), অমিত শাহ (বিজেপি সভাপতি) ভারত দখল করার স্বপ্ন দেখেছিল বিগত ২২ বছরের মধ্যে বিজেপি সেখানে সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে। এমনকি নরেন্দ্র মোদির জন্মস্থান যেখানে, তার নিজের এলাকা বিজেপি’র হাতছাড়া হয়ে গেছে। এতে প্রমাণ হচ্ছে ২০১৯ সালে বিজেপি’র বিদায় ঘণ্টা গুজরাট থেকে বেজে গেছে। সময়ের অপেক্ষা মাত্র। আমরা বাংলায় যা করে দেখিয়েছি, গুজরাট তা করে দেখিয়েছে এবং আগামীদিনে প্রত্যেক রাজ্য তা করে দেখাবে বলে আমরা মনে করি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদেশ দিয়েছেন, জনবিরোধী এফআরডিআই বিলের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে পথে নামতে হবে। গত সপ্তাহে আমাদের এমপিরা লোকসভা ও রাজ্যসভাসহ সংসদের বাইরেও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, জীবন চলে গেলেও এফআরডিআই বিল তৃণমূল কংগ্রেস পাস হতে দেবে না। সংসদে এ ব্যাপারে প্রতিবাদ গড়ে তোলা হয়েছে, বিষয়টি সিলেক্ট কমিটিতে গেছে। আমার এর শেষ দেখে তবেই ছাড়ব।’

কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদেরকে (কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা) সিবিআই, ইডি (আয়কর দফতর) দেখিয়ে দমিয়ে রাখা যায়নি, যাবেও না।’

বিজেপিকে টার্গেট করে তিনি বলেন, ‘মানুষের পেটে আঘাত পড়লে আমরা কখনোই ছেড়ে কথা বলবো না। যারা উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন করতে পারে না, তারা মুখে কেবল বড়বড় কথা বলে এবং হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা বাংলাকে দ্বিখণ্ডিত করার চেষ্টা করে। কিন্তু আমাদের জীবন গেলে যাবে, রক্ত গেলে যাবে, প্রাণ গেলে যাবে, আমরা বাংলাকে অশান্ত হতে দেবো না।’

তিনি বলেন, ‘লাভ জিহাদের অভিযোগ তুলে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। কিন্তু বিজেপি এমপি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভির স্ত্রী একজন হিন্দু। মুসলিম হয়েও যদি তিনি হিন্দুর সঙ্গে বাস করতে পারেন তাহলে আফরাজুল খানকে কেন কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হবে? এর জবাব নরেন্দ্র মোদি সরকারকে দিতে হবে।’

কলকাতায় সমাবেশের আগে কেন্দ্রীয় সরকারের আনা এফআরডিআই বিলের প্রতিবাদে তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। পার্সট্যুডে।

এসআইএস/জেআইএম

আরও পড়ুন