পুতিনের শাসনামলে দেশের মানুষের প্রত্যাশিত আয়ু বেড়েছে
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দাবি করেছেন যে, রাশিয়ায় তার বিকল্প কোন বিরোধী দল নেই কারণ সরকার পরিচালনায় তিনি সফল। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বছর শেষের সংবাদ সম্মেলনে এই রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি ক্ষমতায় আসার পর রাশিয়া মানুষের আয় বেড়েছে পাঁচগুণ আর মানুষের প্রত্যাশিত আয়ুও বেড়েছে।
প্রেসিডেন্ট পুতিনের এই সংবাদ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন এক হাজার ছয়শোর বেশি সাংবাদিক। সংবাদ সম্মেলন প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলেছে যা আসলে একটি রেকর্ড। সংবাদ সম্মেলনের বেশিরভাগ প্রশ্ন ছিল রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে।
প্রেসিডেন্ট পুতিনের বাৎসরিক এই সম্মেলনটি এতটাই আলাদা এবং এর আয়োজন এতটাই ব্যাপক যে পুতিনের বক্তব্য-বিবৃতির পাশাপাশি অনুষ্ঠানটি নিয়ে প্রতিবছরই অনেক খবরাখবর হয়। ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে পুতিন বহু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
এই সংবাদ সম্মেলনটি এমন এক সময় হচ্ছে যখন কিছুদিন আগেই পুতিন ঘোষণা করেছেন যে তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ রাজনীতি প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছেন কেন রাশিয়ায় তার কোনো শক্ত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নেই বা কেন তিনি চাইলেই বার বার নির্বাচিত হতে পারছেন?
পুতিনের উত্তর ছিল, তার শাসনামলের অসামান্য সাফল্যের কারণেই তাকে কোন রাজনীতিক চ্যালেঞ্জ করতে পারছেন না। পুতিন বলেন তার শাসনামলে কর কমেছে তিনগুণ। মজুরি বেড়েছে পাঁচগুণ। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে ৩০ গুণ। এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নিজের সফলতার বিষয়ে জোর দিয়ে তিনি আরো বলেন কোনো শক্ত বিরোধী পক্ষ যেহেতু তৈরি হচ্ছে না তাহলে বলতে হয় যে নিজের বিরোধী হয়ত আমাকেই হতে হবে।
তবে একই সঙ্গে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে পুতিন বলেন, তিনি সত্যিই প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতি নিয়ে ভাবছেন। রুশ অর্থনীতিতে যেমন প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে, রাজনীতিতেও সেটা হতে হবে। কারণ রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা না থাকলে, ভারসাম্যপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যবস্থা চিন্তাই করা করা যায়না।
যুক্তরাষ্ট্র, ট্রাম্প, অস্ত্র প্রতিযোগিতা, রেষারেষি নানা প্রসঙ্গ উঠেছে পুতিনের ওই সংবাদ সম্মেলনে। তিনি বলেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের সঙ্গে রাশিয়ার তথাকথিত গোপন যোগাযোগ নিয়ে যারা মুখর, তারা সত্যের বদলে নিজেদের তৈরি মরীচিকার পেছনে ছুটছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রেরই ক্ষতি করছেন।
অস্ত্র প্রতিযোগিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পারমাণবিক অস্ত্র সীমিতকরণ চুক্তি নবায়নে যুক্তরাষ্ট্র আর ইচ্ছুক নয় বলেই মনে হচ্ছে। যেটা তার মতে বেশ বিপজ্জনক হতে পারে।
টিটিএন/আইআই
