ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

উ. কোরিয়ার জন্য দ. কোরিয়ার ড্রোন বাহিনী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৫:০১ এএম, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭

উত্তর কোরিয়াকে সামরিক দিক থেকে মোকাবেলার লক্ষ্যে নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে একটি ড্রোন বাহিনী তৈরি করা হচ্ছে। খবর ফিন্যান্সিয়াল টাইমস

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইওনহ্যাপ এক সামরিক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, আগামী বছর এই ড্রোন কমব্যাট ইউনিট চালু হবে এবং এর কারণে যুদ্ধের রীতিনীতি সম্পূর্ণ বদলে যাবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ সামরিক কর্মকর্তা বলছেন, এই সেনা ইউনিট গঠন করা হবে ড্রোনবট দিয়ে। অর্থাৎ এতে ড্রোনতো থাকবেই, সেই সঙ্গে রোবটও থাকবে।

উত্তর কোরিয়ার ক্রমাগত পরমাণু বোমা এবং আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মুখে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে দক্ষিণ কোরিয়া তার গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করতে চায় এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে চায়।

গত ২৯ নভেম্বর কিম জং উনের নেতৃত্বাধীন পিয়ংইয়ং সরকার সর্বশেষ যে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে তা যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের যে কোনো স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম বলে দাবি করা হয়।

ব্রিটেনের ফিন্যান্সিয়াল টাইমস সংবাদপত্রের খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার ড্রোন বাহিনীর মূল কাজ হবে দুটি।
প্রথমত, ড্রোনগুলো দিয়ে শত্রুপক্ষের ওপর নজরদারী চালানে হবে। বিশেষভাবে উত্তরে কোরিয়া যেসব জায়গায় অস্ত্র এবং বোমার পরীক্ষা চালায় সেগুলোর দিকে নজর রাখা হবে। দ্বিতীয়ত, এই ড্রোন ঝাঁক বেধে শক্রর ওপর হামলা চালাতে পারবে।

এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির এমন উন্নতি হয়েছে যে ড্রোনগুলো একে অন্যের সঙ্গে আরো ভালভাবে যোগাযোগ রাখতে পারে এবং ঝাঁক বেধে আক্রমণ চালাতে পারে।

গত বুধবার প্রেসিডেন্ট মুন জ্যা ইন দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাজেটে সাত শতাংশ বরাদ্দ বৃদ্ধির ঘোষণা দেন। ২০০৯ সালের পর থেকে সামরিক বাজেট এতোটা বাড়ানো হয়নি।

দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী সং ইয়ং মু বলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে রূঢ় বাস্তবতার মুখেই বাজেটে ৪ হাজার কোটি ডলার বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। নতুন প্রযুক্তি গড়ে তুলতে এবং সৈন্য সংখ্যা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে এই অর্থ ব্যয় করা হবে বলে জানান তিনি।

টিটিএন/এমএস

আরও পড়ুন