ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি ফিলিস্তিনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৩:১৯ এএম, ১৯ নভেম্বর ২০১৭

ওয়াশিংটনে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অরগ্যানাইজেশনের (পিএলও) কার্যালয় চালু রাখার আর কোনো কারণ দেখছে না যুক্তরাষ্ট্র। স্টেট ডিপার্টমেন্টের এমন মন্তব্যে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। খবর এএফপি।

১৯৮০ সালের পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে পিএলওর অফিস চালানোর ক্ষেত্রে এমন বাধা এলো।

ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী রিয়াদ-আল মালকি বলেছেন, প্রতি ৬ মাস পর পর ওয়াশিংটনে পিএলওর অফিস চালানোর চুক্তি নবায়ন করে আসা হয়। এবারই তা নবায়নে অনীহা দেখিয়েছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে মালকি জানিয়েছেন, দু’দিন আগে স্টেট ডিপার্টমেন্টের একটি চিঠির মাধ্যমে তারা জানতে পারেন যে, মার্কিন কর্তৃপক্ষ সে দেশে ফিলিস্তিনি সংস্থাটির অফিস চালু রাখার বিষয়ে যথেষ্ট কারণ আর খুঁজে পাচ্ছে না।

মালকি বলেন, এমনটি অতীতে কখনই ঘটেনি। মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার আইন বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করে পরিষ্কার সিদ্ধান্ত দেয়া হবে। তবে এর মধ্যেই এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে ফিলিস্তিনে।

পিএলওর অফিস বন্ধ করলে আরব বিশ্বে তার নেতিবাচক প্রভাব পরতে পারে বলেও জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি নেতারা।
পিএলওর সেক্রেটারি জেনারেল শায়েব এরাকাত এক টুইট বার্তায় মার্কিন এই পদক্ষেপকে অগ্রহণযোগ্য বলে মত দিয়েছেন। এমন কিছু ঘটলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ফিলিস্তিনি সম্পর্কের ইতি ঘটার হুমকিও দেয়া হয় পিএলওর পক্ষ থেকে।

মার্কিন এমন সিদ্ধান্তে খুবই অবাক হয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু একে মার্কিন আইনের বিষয় বলে মনে করছেন।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি চুক্তিতে প্রভাব তৈরি করার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প তার হাতে কিছু রাখতে চান। সে জন্যই যুক্তরাষ্ট্র এমন আচরণ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যদিও তিন মাসের মধ্যে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন আনার সুযোগ থাকছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের। এর আগে জাতিসংঘে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যাবার আহ্বান জানিয়েছিলেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। সেজন্যেও যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে এক মার্কিন কর্মকর্তা।

টিটিএন/এমএস

আরও পড়ুন