ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

মুগাবের পতন উদযাপনে হারারের রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:৪৫ এএম, ১৮ নভেম্বর ২০১৭

প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের পতন উদযাপনে ও পদত্যাগের দাবিতে জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারেতে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। বুধবার দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর মুগাবেকে গৃহবন্দি করার দু’দিন পর শনিবার সেনাবাহিনী ও মুগাবের রাজনৈতিক দল জানু-পিএএফের সমর্থনে হাজার হাজার মানুষ হারারেতে বিক্ষোভ করেন। নিজ দল জানু-পিএফ থেকেও মুগাবেকে পদত্যাগের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিবিসির প্রতিনিধিরা বলছেন, লোকজন সেনাবাহিনীর ভিড়ের মধ্যে ব্যাপক আনন্দ- উল্লাস করছে। দেশটির স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রবীণ নেতা ও ক্ষমতাসীন জানু-পিএফের আঞ্চলিক শাখার প্রধানরা; যারা গত বছর পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট মুগাবের আনুগত্য ও ঘনিষ্ঠ ছিলেন; তারাও বলছেন, মুগাবের পদত্যাগ করা উচিত।

গত কয়েকদিন ধরে মুগাবে গৃহবন্দি থাকলেও শুক্রবার প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে আসেন। রাজধানীতে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। উত্তরসূরী হিসেবে নেতা নির্বাচনের জেরে ভাইস প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করায় মুগাবের ৩৭ বছরের দেশ শাসনের অবসান ঘটে গত বুধবার সেনাবাহিনী ক্ষমতা কেড়ে নেয়ার পর।

গত সপ্তাহে ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন এমন্যানগাগওয়াকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। এমারসন দেশটির শক্তিশালী গোয়েন্দা বাহিনীর সাবেক প্রধান কর্মকর্তা ছিলেন। মুগাবের অনুপস্থিতিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্ত্রী গ্রেস মুগাবের পথ পরিষ্কার করতেই এমারসনকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় বলে অভিযোগ উঠে।

পরে দেশটির রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের হুমকি দিয়ে নজিরবিহীন এক সংবাদ সম্মেলন করেন সেনাপ্রধান। এর একদিন পর দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে প্রেসিডেন্টকে ঘিরে থাকা অপরাধীদের ধরতে অভিযান চালানো হয়েছে বলে দাবি করে সেনাবাহিনী।

সেনাবাহিনী বলছে, তারা মুগাবের সঙ্গে আলোচনা করছেন; শিগগিরই জনগণকে আলোচনার ফলাফল সম্পর্কে জানানো হবে। ১৯৮০ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই জিম্বাবুয়েরা প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মুগাবে।

বিক্ষোভ করছে কারা?
চলতি সপ্তাহের শুরুতে দেশটির স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রভাবশালী নেতা ক্রিস্টোফার মুতসভ্যাংগা একটি সমাবেশে বড় ধরনের জনসমাবেশের ঘোষণা দেন। ‘আমরা আমাদের গর্ব পুনরুদ্ধার করতে চাই...শনিবার হচ্ছে সেইদিন...সেনাবাহিনী যা শুরু করেছিল আমরা তার শেষ করতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই মুগাবের। তাকে অবশ্যই বিদায় নিতে হবে।’ এদিকে, দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল জানু-পিএফ’র আঞ্চলিক ১০টি শাখার ৮টি প্রেসিডেন্ট ও দলের সেক্রেটারির পদ থেকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে। শুক্রবার এক ভোটাভুটিতে মুগাবের পদত্যাগের পক্ষে তারা ভোট দেয়।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানু-পিএএফের আঞ্চলিক বেশ কয়েকজন নেতা নজিরবিহীন ভাষণ দেন। এসময় তারা বলেন, মুগাবের পদত্যাগ করা উচিত। একই সঙ্গে গ্রেস মুগাবেকেও দল থেকে পদত্যাগের আহ্বান জানান। এছাড়া ক্ষমতাচ্যুত ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসনকে দলীয় পদে পুনর্বহালের দাবি জানান তারা।

দেশের চলমান সংকট নিয়ে চলতি সপ্তাহে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা বিশেষ অধিবেশনে বসবেন বলে জানিয়েছে জানু-পিএএফ।

এসআইএস/আরআইপি

আরও পড়ুন