ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ভাটা পড়েনি মোদির জনপ্রিয়তায়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৭:২৬ এএম, ১৬ নভেম্বর ২০১৭

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ এক জরিপে বলছে, মোদির ওপর প্রতি ১০ ভারতীয়র মধ্যে ৯ জনই আস্থা রাখছেন। এছাড়া তিনি যেভাবে দেশ পরিচালনা করছেন তাতে সন্তুষ্ট দেশটির দুই-তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ।

মার্কিন এই গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলছে, মোদির প্রতি মানুষের এই অাস্থার তূলনা করা হয়েছে ২০১৪ সালে দেশটির নির্বাচনে অংশ নেয়ার আগের জনপ্রিয়তার সঙ্গে।

গত তিন দশকের মধ্যে ওই বছর মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) জোট ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে দেশটির ক্ষমতায় আসে। পিউ রিসার্চের জরিপ বলছে, দেশটিতে মোদির জনপ্রিয়তা এখনো তুঙ্গে রয়েছে।

তবে সমালোচকরা ক্ষমতাসীন জোটের অন্তর্ভুক্ত কট্টরপন্থী হিন্দু গোষ্ঠীগুলোকে দেশটিতে বিভাজন বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। বিশেষ করে তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর নিপীড়নের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

একই সঙ্গে ধীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও লাখ লাখ বেকার যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে মোদি ব্যর্থ হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। তবে পিউ জরিপ বলছে, মোদির প্রতি অনুকূল মতাদর্শ পোষণ করেন প্রায় ৮৮ শতাংশ ভারতীয়; যা ২০১৫ সালের চেয়ে বেশি। ভারতকে উচ্চ-প্রবৃদ্ধির অর্থনীতিতে রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসার পর ওই বছর মোদির প্রতি মানুষের এই আস্থার হার ছিল প্রায় ৮৭ শতাংশ।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ক্ষমতাগ্রহণের তিন বছরের মাথায় এ ধরনের উচ্চ রেটিং অস্বাভাবিক। এই অঞ্চলের দেশগুলোতে নির্বাচনের আগে দেয়া প্রতিশ্রুতির সঙ্গে ক্ষমতায় আরোহণের পর দলগুলোর কর্মকাণ্ডে মানুষ হতাশ হয়ে পড়েন।

চলতি বছরের ফ্রেরুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ওই জরিপ চালিয়েছে পিউ রিসার্চ সেন্টার। এতে দেখা যায়, দেশটির ৮৮ শতাংশ মানুষ মোদির উপর আস্থা রাখছেন। যেখানে বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধীর প্রতি আস্থা রয়েছে মাত্র ৫৮ শতাংশ মানুষের। এছাড়া কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ওপর অাস্থা রয়েছে যথাক্রমে ৫৭ ও ৩৯ শতাংশ মানুষের। আগামীতে কংগ্রেসের নেতৃত্বে আসার সম্ভাবনা রয়েছে রাহুল গান্ধীর।

জরিপে অংশ নেয়া ৮০ শতাংশ ভারতীয় বলছে দেশটির বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো। ২০১৪ সালে মোদির সরকার ক্ষমতায় আসার পর অর্থনীতির ওপর মানুষের এই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বেড়েছে ১৯ শতাংশ। এদিকে, দেশ যেভাবে চলছে তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রতি ১০ জনের সাতজন। পিউ রিসার্চ সেন্টার বলছে, মানুষের এই সন্তোষ প্রকাশের হার ওই বছরের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ।

ভারতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২০১৯ সালে।

সূত্র : রয়টার্স।

এসআইএস/পিআর

আরও পড়ুন