রোহিঙ্গা নির্যাতনে দায়ীদের বিচারের সুপারিশ টিলারসনের
রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচার করার সুপারিশ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, রাখাইনে যেসব নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে তার ওপর স্বাধীন ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত চালাতে হবে। খবর বিবিসি।
মিয়ানমারে এক সফরের সময় টিলারসন সামরিক বাহিনীর সুপরিকল্পিত সহিংসতার কথা উল্লেখ করে বলেন, রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক সহিংসতার সময় মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী এবং অস্ত্রধারী বেসরকারি গোষ্ঠীগুলোর হাতে ব্যাপক নির্যাতনের বিশ্বাসযোগ্য খবরে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
মিয়ানমারের রাজধানীতে তিনি এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব বক্তব্য রাখেন। সে সময় তার পাশেই ছিলেন মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি।
টিলারসন যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাহায্যের জন্য ৪০ কোটি ৭০ লক্ষ ডলার অর্থ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কোন কোন আইন প্রণেতা মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের লক্ষ্যে বিল পেশ করার কথা বললেও টিলারসন বলেন, পরিস্থিতি বলে এই নিষেধাজ্ঞা সমস্যা সমাধানে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবে না।
এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অঙ লাইং-এর সাথেও বৈঠক করেন।
চলতি বছরের ২৫ অাগস্টে রাখাইনে যে সহিংস পরিস্থিতি শুরু হয়, সেই পরিস্থিতি থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে লাখ লাখ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ।
রাখাইনের কয়েকটি পুলিশ পোস্টে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলার পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে তাদের অভিযান শুরু করে।
রাখাইন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা অভিযোগ করেছেন যে, স্থানীয় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজনের সহায়তায় মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ওপর আক্রমণ করছে, সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে, নারীদের ধর্ষণ করেছে।
টিটিএন/আরআইপি