আসিয়ানের খসড়া বিবৃতিতে উপেক্ষিত রোহিঙ্গা সঙ্কট
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দশ দেশের আঞ্চলিক সংস্থা আসিয়ানের সম্মেলনে একটি বিবৃতির খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানের মুখে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের পলায়নের ঘটনাকে জাতিসংঘ ‘জাতিগত নিধন’ হিসেবে অভিহিত করলেও আসিয়ানের এই বিবৃতিতে রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়টিকে কৌশলে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স এই খসড়ার একটি কপি হাতে পেয়েছে। রয়টার্স বলছে, রোহিঙ্গাদের দেশত্যাগের ব্যাপারে ‘আসিয়ান’ জোট বিবৃতিতে কোনো ধরনের মন্তব্য করেনি।
সোমবার রয়টার্স ওই খসড়া বিবৃতির একটি অনুচ্ছেদ দেখেছে; যেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত ভিয়েতনামে মানবিক ত্রাণ সরবরাহ, ফিলিপাইনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে জঙ্গিবিরোধী লড়াইয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার দেয়ার কথা উল্লেখ আছে। তবে মিয়ানমারের সঙ্কটের ব্যাপারে রোহিঙ্গাদের নাম উল্লেখ না করে বিবৃতিতে উত্তর রাখাইনে ‘ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ে’র মাঝে ত্রাণ সরবরাহের ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
দশ দেশের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক এ সংস্থার চেয়ারম্যান ফিলিপাইন বিবৃতিটি তৈরি করেছে। সোমবার ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় ব্যতিক্রমী এক অধিবেশনে অংশ নিয়েছে মিয়ানমার।
বিবৃতির খসড়ায় উত্তর রাখাইনের পরিস্থিতির ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য অথবা নিপীড়নের শিকার সংখ্যালঘু মুসলিমদের পরিচিতি ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটিও উল্লেখ করা হয়নি। দেশটির নেত্রী অং সান সু চি বিদেশি নেতাদেরকে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি উল্লেখ না করার অনুরোধ করেছেন।
বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং দেশটিতে তাদের স্বীকৃতি নেই।
গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে নিরাপত্তাবাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর দেশটির সেনাবাহিনী ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ শুরু করে। সেনাবাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধদের এই অভিযানে ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়েছে।
এসআইএস/এমএস