রোহিঙ্গা ফেরানোর আলোচনা ঝুঁকিতে পড়তে পারে : মিয়ানমার
রাখাইন সঙ্কট ঘিরে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দেয়া বিবৃতির সমালোচনা করে সতর্ক করে দিয়েছে মিয়ানমার। দেশটি বলছে, রাখাইনের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে নিরাপত্তা পরিষদের দেয়া বিবৃতি বাংলাদেশ-মিয়ানমারের দ্বিপাক্ষিক আলোচনাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে।
নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা রাখাইনে অতিরিক্ত সামরিক বল-প্রয়োগ বন্ধে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের কারণে রাখাইনে যে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে সেব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাধারণ মতৈক্য রয়েছে বলেও জানানো হয় বিবৃতিতে।
গত সোমবার নিরাপত্তা পরিষদের এই বিবৃতির পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চির কার্যালয়।
প্রতিক্রিয়ায় নেইপিদো হয়েছে, আজ বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার যে সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছে; তার সমাধান একমাত্র দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভব। বন্ধুত্বসুলভ আচরণের মাধ্যমে প্রতিবেশি এ দুই দেশের এই সঙ্কট সমাধান হতে পারে।
রাখাইনে বেসামরিক প্রশাসন ও আইনের শাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় নিরাপত্তা পরিষদ। মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে ও সে অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ারও আহ্বান জানায় ১৫ সদস্য রাষ্ট্রের এই পরিষদ। এতে রাখাইনে রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
নিরাপত্তা পরিষদ বলছে, গত আগস্টের শেষের দিকে শুরু হওয়া রোহিঙ্গা পলায়ন ৬ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। উত্তর রাখাইনের সহিংসতা থেকে রোহিঙ্গাদের পলায়নের ঘটনায় ওই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা তৈরি হতে পারে। এই বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় সু চির কার্যালয় বলছে, দুই দেশের মাঝে দ্রুতগতিতে ও সহজেই যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চলছে সেটাকে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতি।
সূত্র : ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমার।
এসআইএস/এমএস