পরীক্ষা পেছাতে সহপাঠীকে খুন!
পরীক্ষার প্রস্তুতি ছিল কম ১৬ বছরের এক কিশোরের। তাই ভেবেছিল যে করেই হোক পরীক্ষা পেছাতে হবে। স্কুলে বড় কোনো ঘটনা ঘটলে পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যেতে পারে এই ভাবনা থেকেই বড় ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা। শেষমেষ খুন করে বসে স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে। এ ঘটনা ভারতে দিল্লির লাগোয়া গুরগাঁওয়ের একটি স্কুলে। খবর বিবিসি।
ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো বা সিবিআই ইতোমধ্যে ওই অভিযুক্ত ছাত্রকে আটকও করেছে। তবে সে বয়সে কিশোর হওয়ায় তার নাম প্রকাশ করা হয়নি।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সাত বছর বয়সী প্রদুম্ন ঠাকুর স্কুলের একটি বাথরুমে খুন হয়। সিবিআই জানিয়েছে, পরীক্ষায় যাতে বসতে না হয়, সে জন্যই বড়সড় গোলমাল পাকিয়ে স্কুল বন্ধ করে দেয়ার জন্যই কাউকে একটা খুন করার পরিকল্পনা করেছিল গ্রেফতার হওয়া একাদশ শ্রেণীর ছাত্রটি।
ঘটনাচক্রে মৃত শিশুটি সেই সময়ে বাথরুমে গিয়েছিল। প্রথমে ওই খুনের অভিযোগে স্কুল বাসের এক কন্ডাক্টরকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
সিবিআই জানিয়েছে, তারা গুরুগাঁওয়ের রায়ান ইন্টারন্যাশানাল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র প্রদু্ম্ন ঠাকুরের হত্যা মামলায় ওই স্কুলেরই এক সিনিয়র ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে। ওই ছাত্রের বয়স ১৬ বছর। তাই তাকে শিশু-কিশোর বিচারিক আদালতে হাজির করা হয়েছে। ছাত্রটিকে গ্রেফতার করার কারণ হিসেবে সিবিআই একটি নোট জমা দিয়েছে।
তাতে বলা হয়েছে, পরীক্ষা আর অভিভাবক-শিক্ষক বৈঠক বানচাল করার উদ্দেশ্য ছিল ওই ছাত্রের। পড়াশোনায় পিছিয়ে থাকা ছাত্রটি ভেবেছিল, যদি স্কুলের কেউ খুন হয়, তাহলে নিশ্চয়ই একটা বড় ধরনের গোলমাল বাধবে আর স্কুল ছুটি হয়ে যাবে। প্রদু্ম্নকেই যে খুন করবে, এমন কোনো নির্দষ্টি পরিকল্পনা তার ছিল না। খুন করার জন্য আগে থেকেই একটা ছুরি কিনেছিল সে।
সিবিআই আরো জানিয়েছে, নিজের বাবার সামনেই ওই ছাত্র স্বীকার করে নিয়েছে খুনের ঘটনা। তবে ছাত্রটির বাবা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাকে চাপ দিয়ে ছেলের দেয়া বক্তব্যে সই করানো হয়েছে।
ছাত্রটির পরিচয় গোপন রাখার কারণে তার বাবার পরিচয়ও সংবাদমাধ্যমে গোপন রাখা হচ্ছে। ছাত্রটির বাবা বলেন, তার ছেলে কখনোই খুন করেনি। তাকে ফাসানো হচ্ছে। তার জামায় কোনো রক্তের দাগ ছিল না। প্রথম থেকে তদন্তে সহযোগিতা করেছে সে।
এআরএস/আইআই