ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতিতে ফাঁক দেখছেন সু চি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:২১ এএম, ০৮ নভেম্বর ২০১৭

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সাম্প্রতিক বিবৃতি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে মিয়ানমার। বুধবার দেশটির তরফ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তা পরিষদের এমন বিবৃতির কারণে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

মিয়ানমার মনে করে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই মিয়ানমার সংকট সমাধান সম্ভব। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতিতে এ বিষয়ে কিছুই উল্লেখ করা হয়নি। তারা এ বিষয়টি এড়িয়ে গেছে।

রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে মিয়ানমারে আশ্রয় নিয়েছে।

সোমবার নিরাপত্তা পরিষদের এক বিবৃতিতে, রাখাইনে সামরিক বাহিনীর অভিযান বন্ধ এবং সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অপব্যবহারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

জাতিসংঘের ওই বিবৃতির পর মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি বলেন, মিয়ানমার এবং বাংলাদেশ যে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে তা কেবলমাত্র দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা সম্ভব। এ বিষয়টি নিরাপত্তা পরিষদ এড়িয়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সু চির কার্যালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতি দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় সম্ভাব্য এবং গুরুতরভাবে ক্ষতি করতে পারে। এ প্রক্রিয়া মসৃণভাবে ও প্রত্যাশা অনুযায়ীই হচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে উল্লেখ করে ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংকট সমাধানে আলোচনা করতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে আগামী ১৬ ও ১৭ নভেম্বর মিয়ানমার সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সফরের একদিন আগে অর্থাৎ ১৫ নভেম্বর মিয়ানমারে সফর করবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। রাখাইনে সহিংসতা বন্ধ করে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমারকে বাধ্য করতে দেশটির সেনাবাহিনী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের একটি প্রস্তাবের বিষয়টি বিবেচনা করছে ওয়াশিংটন।

রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পাসের উদ্যোগ নিয়েছিল ব্রিটেন ও ফ্রান্স। কিন্তু মিয়ানমারের দুই মিত্র দেশ রাশিয়া ও চীনের ভেটো ক্ষমতার কারণে শেষ পর্যন্ত তা বাতিল হয়ে যায়।

গত সপ্তাহে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক প্রধান ফিলিপো গ্র্যান্ডি বলেছেন, রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিয়েই ফিরিয়ে নিতে হবে। তিনি বলেছেন, এসব লোকদের ফিরে যাওয়া এবং তাদের সেখানে থাকাটা স্থায়ী করতে তাদের অবশ্যই নাগরিকত্ব দিতে হবে। নাগরিকত্ব না পেলে তাদের ফিরে যাওয়া স্থায়ী হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও পুলিশের বেশ কিছু তল্লাশি চৌকিতে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাখাইনে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। অভিযানের নামে সেখানে তাণ্ডব চালায় সেনারা। রাখাইনের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা, তাদের বাড়ি-ঘর আগুন দিয়ে পোড়ানো হয় এবং নারীদের ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়।

টিটিএন/আরআইপি

আরও পড়ুন