হাসপাতালে আইএসের পতাকা রাখতে চেয়েছেন নিউইয়র্কের হামলাকারী
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটনে ট্রাক চালিয়ে আটজনকে হত্যার ঘটনায় জড়িত ঘাতক ট্রাকচালক সাইফুল্লো সাইপোভের জেরা করে অনেক তথ্য জানতে পেরেছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার ট্রাক নিয়ে নিউ ইয়র্কের পথে ত্রাস ছড়ানো এই জঙ্গিকে কোনও রকম ছাড় দিতে নারাজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, ‘লোকটা বেশ খোশমেজাজেই আছে। আর হাসপাতালের ঘরে আইএসের পতাকা চাইছে। আট জনকে মেরেছে। ১২ জনকে গুরুতর ভাবে জখম করেছে। ওর মৃত্যুদণ্ডই হওয়া উচিত।’
অভিযুক্ত সাইপভ জানিয়েছেন, জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের ভিডিও দেখে উৎসাহিত হয়ে একবছর আগে থেকেই হামলার পরিকল্পনা শুরু করেন তিনি।
নিজের কৃতকর্মের জন্য তার কোনো অনুশোচনা নেই এবং তাকে হাসাপাতালের যে কক্ষে রাখা হয়েছে সেখানে আইএসের পতাকা রাখার অনুমতি চেয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবারের হামলার পরে পেটে গুলি লাগায় আহত অবস্থায় সাইফুল্লোকে হাসপাতালে রাখা হয়। হুইলচেয়ারে করে কোর্টে হাজিরা দেয় সে। আদালতে তেমন কোনো তথ্য না দিলেও হাসপাতালে তদন্তকারীদের সামনে মুখ খুলেছে সে।
তখনই তদন্তকারীদের কাছে জানিয়েছে যে, হাসপাতালের ঘরে আইএসের পতাকা লাগাতে চায় সে। তাকে দেখে মনে হয়েছে, হত্যাকাণ্ড চালিয়ে বেশ খুশি। ঘাতক ট্রাকের আগে-পিছেও আইএসের পতাকা লাগাবে বলে ভেবেছিল সে, কিন্তু দ্রুত নজরে পড়ার আশঙ্কায় সেই ভাবনা পরে বাদ দেয়া হয়।
নিউ ইয়র্ক পুলিশ এবং এফবিআই সাইফুল্লোর মোবাইল ঘেঁটে অন্তত ৯০টি ভিডিও ও ৩ হাজার ৮শটি ছবি পেয়েছে। এর বেশির ভাগই আইএসএর প্রচারধর্মী ভিডিও। ছবিগুলোর কোনওটায় আইএস জঙ্গিরা নিরপরাধ মানুষের গলা কাটছে, কোথাও বোমা বানানোর প্রক্রিয়ার কথা বলা হচ্ছে।
নিউ ইয়র্কের ওয়েস্ট স্ট্রিট ছাড়াও আরও নানা জায়গায় হত্যাকাণ্ড চালানোর পরিকল্পনা তার। তদন্তকারীদের কাছে সাইফুল্লো জানিয়েছে, পুরো এক বছর ধরে নিউ ইয়র্কে হামলার পরিকল্পনা চালিয়েছে সে। কিন্তু ট্রাক নিয়ে হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দু’মাস আগে।
২২ অক্টোবর নিউ জার্সির পাসায়েকের হোম ডিপো থেকে একটি ট্রাক ভাড়া নেয় সে। হামলার আগে ওই ট্রাক চালিয়েই মহড়া দিয়েছিল। মঙ্গলবারও একই ভাবে দু’ঘণ্টার জন্য ট্রাক ভাড়া নেয়। তবে তদন্তকারীদের দাবি, সেই ট্রাক ফেরত দেওয়ার কোনও ইচ্ছা ছিল না তার।
টিটিএন/এমএস