মানুষ সংঘাতে জড়ায়নি : রাখাইনে সু চি
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নিপীড়নের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দা-সমালোচনার ঝড়ের মুখে বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো সংঘাতপূর্ণ এলাকা পরিদর্শনে গেছেন শান্তিতে নোবেল জয়ী নেত্রী অং সান সু চি। সু চির দাবি ওই এলাকাগুলোতে মানুষ সংঘাতে লিপ্ত হয়নি।
২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও পুলিশের বেশ কিছু তল্লাশি চৌকিতে হামলার জেরে দেশটির সেনাবাহিনীর তাণ্ডবে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা রাখাইন রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের ফটোসাংবাদিক দেখেছে, কয়েক হাজার উদ্বাস্তু রোহিঙ্গা পাথর আর সংকীর্ণ খাঁড়ির মধ্যে দিয়ে নাফ নদী পার হওয়ার জন্য চেষ্টা করছে।
তাদের অনেকেই ছোট নৌকায় চড়ে কিংবা ভেলায় ভেসে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তবে বেশিরভাগ রোহিঙ্গা শিশু, নারী ও বৃদ্ধ মিলে পিঠে, কোলে পুঁটলি নিয়ে পায়ে হেঁটে সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
বাংলাদেশ সীমান্ত বাহিনীর (বিজিবি) কক্সবাজার জেলায় কর্মরত মেজর মুহাম্মদ ইকবাল জানান, গত বুধবার চার হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নাফ নদীর বিভিন্ন এলাকা দিয়ে পালিয়ে এসেছে।
রোহিঙ্গা নির্যাতনের ঘটনায় সু চির ব্যাপক সমালোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তাণ্ডবকে পাঠ্যপুস্তকে উল্লিখিত গণহত্যার উদাহরণের সঙ্গে তুলনা করেছে জাতিসংঘ।
সু চির সঙ্গে রাখাইন পরিদর্শনে যাওয়া ক্রিস লেওয়া জানান, রাস্তার পাশে কিছু মানুষের জটলা দেখে গাড়ি থামিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলেন তিনি (সু চি)।
তিনি আরও জানান, মানুষজনকে তিনি তিনটি কথা বলেছেন। তাদের শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করা উচিত, সরকার তাদের সহায়তা করবে এবং একে অপরের সঙ্গে তাদের ঝগড়া করা উচিত নয়।
সূত্র : রয়টার্স
কেএ/আইআই