ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

রোহিঙ্গা ফেরত পাঠানো নিয়ে বিরূপ মন্তব্য মিয়ানমারের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৭:১৭ এএম, ০১ নভেম্বর ২০১৭

লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে বাংলাদেশ সময়ক্ষেপণ করছে বলে অভিযোগ করেছে নেইপিদো। আন্তর্জাতিক দাতাগোষ্ঠীগুলোর কোটি কোটি ডলার সহায়তা হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে; এমন শঙ্কায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ বিলম্বের পথ বেছে নিয়েছে- বলছে মিয়ানমার।

জাতিগত সহিংসতা থেকে বাঁচতে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমার থেকে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রতিবেশি বাংলাদেশে পালিয়েছে। গত আগস্টের শেষের দিকে রাখাইন প্রদেশে নিরাপত্তাবাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার জবাবে ভয়াবহ সামরিক অভিযান শুরু হয়।

মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চির মুখপাত্র জ্য হতেই বলেছেন, যে কোনো সময় প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রস্তুত মিয়ানমার। তবে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরতের এই প্রক্রিয়া হবে ১৯৯০ সালের চুক্তির ভিত্তিতে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেই চুক্তির শর্তাবলী এখনো উপেক্ষা করছে।‌

মঙ্গলবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টার কার্যালয় সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক জ্য হতেই বলেন, ‘আমরা শুরু করতে প্রস্তুত, কিন্তু অন্যপক্ষ এখনো শর্তাবলী মেনে নেয়নি এবং ফেরতের প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। এটাই হচ্ছে প্রথম সত্য।’

গত সপ্তাহে মিয়ানমারের রাজধানী নেইপিদোতে সীমান্ত মৈত্রী পোস্ট স্থাপনের ব্যাপারে বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হয়। দেশটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ওই স্মারকে সই করেন। নতুন স্মারক সই হলেও পুরনো চুক্তির ব্যাপারে কোনো ধরনের অগ্রগতি দেখা যায়নি।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অর্থ দিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বিশাল আশ্রয়শিবির তৈরির পরিকল্পনার কারণেই বাংলাদেশ বিলম্ব করছে বলে অভিযোগ করেন জ্য হতেই। বুধবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত এক সংবাদে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সু চির এই মুখপাত্র বলেন, বর্তমানে তারা ৪০০ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে। এই অর্থ পাওয়ায় আমরা এখন শরাণার্থী প্রত্যবাসন কর্মসূচি বিলম্বিত হওয়ার শঙ্কায় আছি। তিনি বলেন, ‘তারা আন্তর্জাতিক ভর্তুকি পেয়েছে। আমরা এখন শঙ্কিত যে, তারা শরণার্থীদের ফেরত পাঠানো নিয়ে অন্য চিন্তা করতে পারে।’

সূত্র : রয়টার্স।

এসআইএস/পিআর

আরও পড়ুন