ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

বন্ধ হচ্ছে রাখাইনের হিন্দু আশ্রয় শিবির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১:৩৭ এএম, ৩০ অক্টোবর ২০১৭

সহিংসতায় উদ্বাস্তু হয়ে পড়া হিন্দুদের জন্য চালুকৃত আশ্রয় শিবির বন্ধ করছে রাখাইন রাজ্য সরকার। রাখাইনের বিদ্যুৎ, শিল্প ও পরিবহনমন্ত্রী ইউ অং কিয়াও জ্যান আগামী ২ নভেম্বরের পর হিন্দু আশ্রয় শিবির বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় সিত্তে, পন্যাগিয়ুন, কিয়াওকতাও, ম্রক-ইউ ও মিনবিয়া শহরের আশ্রয়শিবিরগুলো বন্ধ করা হবে। রাখাইনের এ মন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ইতোমধ্যে অনেকেই শিবির ত্যাগ করে বাড়িতে ফিরেছেন।

সোমবার দেশটির গণমাধ্যম দ্য ইরাবতিকে মন্ত্রী ইউ অং কিয়াও বলেন, ‘আমরা জোরপূর্বক তাদেরকে উচ্ছেদ করছি না। শিবিরে অল্পসংখ্যক মানুষ থাকায় আমরা তা বন্ধ করছি।’

মংডু জেলায় নিরাপত্তাবাহিনীর চৌকিতে হামলার পর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়েছে। সেনাবাহিনীর এ অভিযানে আরাকানি, ম্রো ও দেইংনেতসহ হাজার হাজার স্থানীয় সংখ্যালঘু রাখাইনের রাজধানী সিত্তেসহ অন্যান্য শহরে আশ্রয় নেয়। তবে এ সংখ্যালঘুদের অনেকেই এখন তাদের বাড়িতে ফিরে গেছেন।

মিয়ানমার সরকারের তথ্য বলছে, রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর সিত্তের আশ্রয়শিবিরে ছয় হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। তবে বর্তমানে সিত্তেতে আরাকানিদের দুটি, মারামায়িদের একটি ও হিন্দু সংখ্যালঘুদের দুটি আশ্রয়শিবির চালু আছে।

দ্য ইরাবতি বলছে, দনিয়াওয়াদির খেলার মাঠের একটি হিন্দু আশ্রয়শিবিরে এখনও ছয় শতাধিক, মারামায়ি শিবিরে তিন শতাধিক এবং কিয়াং তেত ল্যান ওয়ার্ড শিবিরে আরও ৪০০ হিন্দু অবস্থান করছেন।

রাখাইন রাজ্য হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান ইউ মং হ্ল্যা বলেন, দনিয়াওয়াদির আশ্রয়শিবির ও সিত্তের কিয়াং তেত ল্যান এবং কিয়াং জি ল্যানের দুটি হিন্দু মন্দিরে আশ্রয় নেয়া প্রায় এক হাজার ৪০০ হিন্দু সম্প্রতি তাদের গ্রামে ফিরেছেন। তবে বর্তমানে তারা খাদ্য ও আবাসন সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘যারা ফিরে গেছেন তারা আমাকে ফোনে বলেছেন, এলাকার শিবিরগুলোতে তাদেরকে জায়গা দেয়া হচ্ছে না। তাদের থাকার কোনো জায়গা নেই এবং পর্যাপ্ত খাবারও পাচ্ছেন না।

সংগঠকদের গত ২৭ অক্টোবর আশ্রয়শিবির বন্ধের পরিকল্পনার কথা জানায় রাজ্য সরকার। ওই সময় বলা হয়, আগামী ২ নভেম্বরের মধ্যে শিবিরগুলো বন্ধ করা হবে। এরপরে সেখানে খাবার ও নগদ অর্থ সরবরাহ করবে না সরকার।

সূত্র : দ্য ইরাবতি।

এসআইএস/আইআই

আরও পড়ুন