ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

রোহিঙ্গা নিপীড়নে ট্রাম্পের কিছু করা উচিত : ওয়াশিংটন পোস্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৭:২৪ এএম, ৩০ অক্টোবর ২০১৭

চলতি বছরে সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে নির্মম জাতিগত নিধন অভিযান দেখেছে বিশ্ব; যা বার্মায় এখনো অব্যাহত আছে। গত ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ৬ লাখের বেশি সদস্য সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে গেছেন। সেনাবাহিনী পরিকল্পিত উপায়ে তাদের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং যারা প্রতিরোধ করছে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে।

জাতিসংঘ বলছে, রাখাইন রাজ্যে অবশিষ্ট থাকা পাঁচ লাখ রোহিঙ্গার অধিকাংশই আগামী সপ্তাহগুলোতে সীমান্ত পাড়ি দিতে পারে; সেনাবাহিনী তাদের অনেককেই শরণার্থী শিবিরে পাঠিয়ে দিয়েছে। যেখানে মানবিক দাতা সংস্থা ও সাংবাদিকদের প্রবেশের অনুমতি নেই।

একটি ক্ষুদ্র জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এই পাশবিক আচরণ করা হচ্ছে : রোহিঙ্গারা মুসলিম; বার্মার সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধরা তাদেরকে বিদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে মনে করে; যদিও তারা কয়েক প্রজন্ম ধরে দেশটিতে বসবাস করে আসছে।

একদা বার্মা নামে পরিচিত মিয়ানমারে কার্যত নৃশংসতার শিকার রোহিঙ্গাদের সুরক্ষার জন্য কেউই নেই- আর সেটা শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী অং সান সু চিও নন; যিনি দেশটির বেসামরিক সরকারের নিয়ন্ত্রণ করছেন এমনকি সেনাবাহিনীর জেনারেলও নন।

জাতিসংঘের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইয়াংহি লি গত সপ্তাহে বলেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ‘ঘৃণা এবং শত্রুতা’ ঠেকিয়ে দেশের একমাত্র সম্মানিত নেতা হতে পারেন এমন একমাত্র ব্যক্তি হচ্ছেন সু চি। তিনি জনগণের কাছে গিয়ে বলতে পারেন, ‘চলুন, একটু মানবিকতা দেখাই।’ কিন্তু অং সান সু চি এখনো নীরব আছেন।

দ্বিধা-দ্বন্দ্বের পর অবশেষে বিস্ময়কর এই অপরাধের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ১৮ অক্টোবর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছেন, বিশ্ব কেবল ব্যর্থভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না এবং নৃশংসতার স্বাক্ষী হতে পারে না। তিনি এজন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নেতৃত্বকে জবাবদিহী করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন। কয়েকদিন পরে মার্কিন পররাষ্ট্র দতর মিয়ানমারের বর্তমান এবং সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের অনুমতি বাতিলের ইঙ্গিত দেয়। রাখাইনে সহিংসতায় জড়িত সেনাবাহিনীর ইউনিটগুলোকে মার্কিন সহায়তার অযোগ্য বিবেচনা করা হবে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের নিরাপদে, সহজে ও স্বেচ্ছা প্রবর্তনের ব্যবস্থা করতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। একই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত বৈষম্যের মূল কারণ খুঁজে বের করার আহ্বান জানায়।

ওয়াশিংটন পোস্টের সম্পাদকীয় অবলম্বনে সাইফুজ্জামান সুমন।

এসআইএস/জেআইএম