নিজেকে বুদ্ধ দাবি করে শত শত কিশোরীকে ধর্ষণ
নিজেকে পরবর্তী বুদ্ধ দাবি করে শত শত কিশোরীর কুমারিত্ব নষ্ট করেছেন খুন তান। তার কাছে কিশোরীদের কুমারিত্ব সঁপে দিলে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিতেন তিনি। মন রাজ্যের থাটন জেলার এই ভণ্ডের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা চলছে।
আলানতায়া এলাকার পা-ও সম্প্রদায়ের অভিভাবকরা বিশ্বাস করেন, খুন তানের সঙ্গে তাদের মেয়েদের বিছানায় যাওয়ার বিষয়টি সৌভাগ্যের ব্যাপার। অভিভাবকদের সেই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে শত শত কিশোরীর কুমারিত্ব নষ্ট করেছেন খুন তান। কুমারিত্ব হারানো কিশোরীদের বেশিরভাগেরই বয়স ১৫ বছরের কম।
মন রাজ্য সরকার তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার পরিকল্পনা করছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো কিশোরী খুন তানের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ কিংবা থানায় মামলা করেনি।
মন রাজ্য পার্লামেন্টের নারী ও শিশু অধিকার কমিটির প্রধান দো খাইং খাইং লে জানান, সরকারিভাবে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির তালিকায় খুন তানের নাম নেই। কারণ এখন পর্যন্ত কেউ তার বিরুদ্ধে কুমারিত্ব নষ্টের অভিযোগ করেনি।
খুন তানের কাছে নিজের দুই মেয়ের কুমারিত্ব নষ্ট হয়েছে ইউ উইন নায়ান্ট নামের এক ব্যক্তির। তিনি জানান, ‘আমার মেয়েদের অভিভাবক হিসেবে আমি কোনোভাবেই খুন তানের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারি না। কারণ আমার স্ত্রী এবং দুই মেয়ে তাদের কুমারিত্ব, জীবন খুন তানের কাছে সঁপে দিয়েছে। তারা যদি বলে, খুন তান তাদের ছুঁয়েও দেখেনি; সে কারণে মামলা করাটা আমার জন্য কঠিনই।’
খুন তানের সঙ্গে অলিখিতভাবে বিয়ে হয়েছে ইউ উইন নায়ান্টের দুেই মেয়ের। এছাড়া আরও ১০ জন কুমারির অলিখিতভাবে বিয়ে হওয়ার তথ্য জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, ‘খুন তান তাদের মেয়েদের বিয়ে না করার কারণে অনেক অভিভাবক মনঃক্ষুণ্ন পর্যন্ত হয়েছেন।’
থাটন কেন্দ্রীয় পুলিশ স্টেশনের প্রধান সংবাদমাধ্যম ইরাবতীকে জানিয়েছে, দুই মাসের মধ্যে কিংবা তারও আগে খুন তানের বিরুদ্ধে তাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি।
গত আগস্টে পাঁচজন ভিক্ষুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় মন রাজ্য সরকার। এদের সবাই আলানতায়া পাগোডা বোর্ডের সদস্য এবং খুন তানের সমর্থক।
দো খাইং খাইং লে জানান, ‘কেবল ট্রাস্টি বোর্ডের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তবে খুন তানের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। সে কারণে খুন তানের বিরুদ্ধে কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা নেই।’
সূত্র : ইরাবতি
কেএ/আইআই