ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা ছয় লাখ ছাড়িয়েছে : জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১:২০ এএম, ২৩ অক্টোবর ২০১৭

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তাণ্ডবে রাখাইন রাজ্য ছেড়ে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। রোববার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।

২৫ আগস্ট দেশটির সেনাবাহিনী ও পুলিশের বেশ কিছু তল্লাশি চৌকিতে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসার) হামলার জেরে তাণ্ডব শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। রাখাইন রাজ্যে নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে পাঠ্যপুস্তকে উল্লিখিত গণহত্যার উদাহরণের সঙ্গে তুলনা করেছে জাতিসংঘ। তবে রাখাইন রাজ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অস্বীকার করেছে মিয়ানমার সরকার।

জাতিসংঘের নিয়ন্ত্রণাধীন ইন্টার-সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপ (আইএসসিজি) বলছে, ২৫ আগস্টের পর থেকে ছয় লাখ তিন হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। গত সপ্তাহে ১৪ হাজার রোহিঙ্গা নতুনভাবে পালিয়ে এসেছে বলেও জানিয়েছে আইএসসিজি।

এছাড়া আরও কয়েক হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য সীমান্তের অদূরে অপেক্ষা করছে। সপ্তাহখানেক আগের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কয়েক হাজার উদ্বাস্তু পরিবার বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য সীমান্তের দিকে এগিয়ে আসছে।

বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কমান্ডার লে. কর্নেল এস. এম. আরিফুল ইসলাম বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, ‘সীমান্তের ওপারে মানুষের একত্রিত হওয়ার বেশকিছু ভিডিও আমরা দেখেছি। সেখানে বহু মানুষ একত্রিত হচ্ছে। সেই সংখ্যা অনেক বেশি।’ তবে কতো সংখ্যক মানুষ সেখানে জড়ো হয়েছে, সে ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।

শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক একটি সংস্থার স্বেচ্ছাসেবক জসিম উদ্দিন জানান, ‘যারা এপাশে আসছে তাদের অনেকেই বলছে, নাফ নদীর ওপাশে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা অপেক্ষমাণ।’

বিজিবির এক সদস্য বলেন, ১০ থেকে ১৫ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য আঞ্জুমানপাড়া এলাকার আশপাশের নো ম্যান্স ল্যান্ডে অপেক্ষা করছিল। কিন্তু তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা তাদের গ্রামে সহিংসতার কথা বলছে এবং খাদ্য ঘাটতির জন্য দলে দলে পালিয়ে আসার কথা জানায়। শাহপরীর দ্বীপের একটি সীমান্তবর্তী গ্রামে ইয়াসমিন নামের এক রোহিঙ্গা বলেন, ‘১০ থেকে ১৫ দিন ধরে আমাদের কাছে তেমন কোনো খাবার নেই। তারা আমাদের বাড়িতে এসে নির্যাতন করছে। ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও আমাদের পালিয়ে আসতে হচ্ছে।’

সূত্র : এএফপি

কেএ/এমএস

আরও পড়ুন