মৃত্যুর আগে মানববন্ধুকে ঠিকই চিনল শিম্পাঞ্জি
অনেক দিন পর পুরনো কোনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হলে হাসি ফোটে মানুষের মুখে। কিন্তু মানুষ বাদে অন্য কোনো প্রাণী? তারাও কি চিনতে পারে অনেক দিনের পুরনো পরিচিতজনকে?
পারে। অন্য কোনো প্রাণী না পারলেও শিম্পাঞ্জি তো অন্তত পারেই। তারই প্রমাণ রয়েছে নেদারল্যান্ডসে। সেখানকার রয়্যাল বার্গার চিড়িয়াখানায় ‘মামা’ নামে ৫৯ বছর বয়সী এক শিম্পাঞ্জি মৃত্যুর প্রহর গুনছিল। খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিয়ে সে এক জায়গায় গুটিশুটি মেরে বসেছিল। তবে পরিস্থিতি বদলাল যখন তার বহুদিনের পুরোনো মানববন্ধু- প্রফেসর জ্যান ফান হুফ- তাকে দেখতে এলেন। হুফ আর মামার বন্ধুত্ব সেই ১৯৭২ সাল থেকে।
অসুস্থ চিড়িয়াখারা চোখেমুখে সত্যিকার আনন্দ ফুটে উঠতে দেখা যায় যখনই সে বুঝতে পারে আসলে কে তাকে দেখতে এসেছে।
একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মামার চোখেমুখে যে কেবল আনন্দেরই ছাপ তা নয়, বরং সে পুরনো বন্ধুকে স্বাগত জানাতে হুফের মাথায় হাতও দিচ্ছে।
তবে প্রথমেই কিন্তু হুফকে চিনতে পারেনি মামা। এরজন্য তাকে কিছু সময় দিতে হয়েছে। তবে চেনামাত্র দু’পটি দাঁত বের করে হসে ওঠে মামা।
২০১৬ সালের এপ্রিলে ভিডিওটি ধারণা করা হয়। এর এক সপ্তাহ পরই মারা যায় মামা।
এনএফ/আরআইপি