পর্তুগাল-স্পেনে দাবানলে ৪৯ জন নিহত
গ্রীষ্মকালীন দাবানলে পর্তুগাল ও স্পেনে কমপক্ষে ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। দাবানালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পর্তুগালে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন হাজারও মানুষ। রোববার থেকে শুরু হওয়া এই দাবানল মঙ্গলবার রাতে বৃষ্টির কারণে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
দাবানলের কারণে সড়কগুলোতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে স্পেন, পর্তুগালের কয়েক হাজার ফায়ার সার্ভিসকর্মী।
কমপক্ষে ১৪৫টি দাবানলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া ইউরোপরে দিকে ধেয়ে আসা হারিকেন ওফেলিয়ার কারণে আগুন ক্রমেই অারো ছড়িয়ে পড়েছিল। মঙ্গলবার রাতের বৃষ্টিতে দাবানলের মাত্রা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
এর আগে রোববার থেকে পর্তুগালের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। উত্তরাঞ্চলের আগুন ছড়িয়ে পড়ে স্পেন সীমান্তেও। স্পেনের গ্যালিসিয়ায় সড়কের পাশে গাড়িতে মৃত অবস্থায় দুইজনকে পাওয়া যায়।
পর্তুগালের কোইমব্রা, গুয়ারদা, ক্যাসটেলো ব্রানসা এবং ভিসেও এলাকায় দাবানলের প্রথম দিকেই ৩১ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। আহত হয় হাজারও মানুষ। এদের মধ্যে বেশিরভাগের অবস্থা গুরুতর। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরও অনেকে, এদের মধ্যে এক মাস বয়সী শিশুও রয়েছে।
দাবানলের কারণে পর্তুগালের টাগুস নদীর উত্তরাঞ্চলে স্থলবেষ্টিত এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে সরকার। এ ছাড়া স্পেনের প্রধানমন্ত্রী গ্যালিসিয়া এলাকা পরিদর্শন করে জরুরি বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
দাবানল নিয়ন্ত্রণে অানতে না পারায় পর্তুগিজ সরকারের প্রতি তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেছে সাধারণ নাগরিকদের। তারা দাবানল নিয়ন্ত্রণে সরকারের উদ্যোগগুলো যথার্থ নয় বলে মনে করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে সরকারের সমালোচনা করছেন।
এআরএস/আইআই