গোধরা হত্যাকাণ্ডে সাজা কমল ১১ জনের
২০০২ সালে গোধরায় সুবরামতি এক্সপ্রেসে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনার মামলার আপিলের রায় ঘোষণা করেছেন ভারতের গুজরাটের হাইকোর্ট। ট্রেনে আগুন দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০০২ সালে গুজরাটে ব্যাপক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় এক হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
সোমবার গুজরাটের আদালত হত্যা, হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার দায়ে ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত ১১ আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন এবং অন্য ২০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। তবে এবারও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন রয়েছে ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের মূল হোতা মৌলভী উমরজি।
২০০২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৫৯ জনের একটি দল অযোধ্যা থেকে ফিরছিলেন; এদের অধিকাংশই হিন্দুত্ববাদি করসেবক। আহমেদাবাদ থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে গোধরা স্টেশনের কাছে পৌঁছালে সুবরামতি এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে ওই ৫৯ জন প্রাণ হারান। আগুন দেয়ার পর দুই মাসব্যাপি দাঙ্গায় এক হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
হত্যা এবং হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ৯৪ মুসলমানকে অভিযুক্ত করে বিচার শুরু হয়। ২০১১ সালে তাদের মধ্যে ৬৩ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। হামলার মূল পরিকল্পনাকারী মৌলভী উমরজি সেই ৬৩ জনের সঙ্গে খালাস পান।
তবে ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারিতে ট্রেনে আগুন লাগানোর অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে অভিযুক্ত মুসলিমরা।
সূত্র : এনডিটিভি।
কেএ/এসআইএস/আইআই