আরসা হামলা চালালে সেটি হবে ধ্বংসাত্মক : মিয়ানমার
রাখাইনের রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) ঘোষিত মাসব্যাপি যুদ্ধবিরতি শেষ হচ্ছে আজ (সোমবার)। আরসার ঘোষিত সময়ের শেষদিনে এসে আবারও সেই বিরতির প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
গত আগস্টে উত্তর রাখাইনের ৩০টি পুলিশি তল্লাশি চৌকিতে হামলার সঙ্গে আরসা জড়িত। রাখাইনে মানবিক সঙ্কট মোকাবেলায় ত্রাণ সহায়তা অবাধে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে ১০ সেপ্টেম্বর এক মাসের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা দেয় আরসা। ক্লিয়ারেন্স অপারেশন চালানোর পর মিয়ানমার সেনাবাহিনী আরসার বিদ্রোহীদেরকে অস্ত্র ছাড়ার আহ্বান জানায়।
সেনাবাহিনীর ওই অভিযানে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এলেও এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।
২৫ আগস্টের ওই হামলার পর পরই মিয়ানমার সরকার আরসাকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে ঘোষণা দেয়। সরকারের মুখপাত্র জ্য হতেই আরসার যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর এক টুইটে বলেন, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আলোচনার কোনো নীতি নেই আমাদের।
সোমবার মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লে. জেনারেল সেইন উইন রাজধানী নাইপিদোতে একই সুরে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে কোনো সরকারই আলোচনা করে না। আমরা তাদের (আরসা) প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছি।’
মিয়ানমারের এই প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, আরসার এই যুদ্ধবিরতি মেনে নেয়নি মিয়ানমার। রাখাইনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জেনারেল সেইন উইন বলেন, ‘আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে কাজ করছে।’
‘তবে ওই এলাকা অনেক বড়। সুতরাং আরসা যদি হামলা চালাতে চায় তাহলে সেটি হবে ধ্বংসাত্মক।’
৬ অক্টোবর আরসা টুইটারে এক বিবৃতিতে জানায়, ৯ অক্টোবর মধ্যরাতে যুদ্ধবিরতি শেষ হবে। বিবৃতিতে রাখাইনে ত্রাণ পৌঁছাতে সেনাবাহিনী বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে আরসা। এছাড়া শান্তি আলোচনায় আরসা প্রস্তুত বলেও জানানো হয়।
রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কঠোর অভিযানকে জাতিগত নিধনের চেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ। তবে জাতিগত নিধনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমার।
সূত্র : দ্য ইরাবতি।
এসআইএস/জেআইএম