ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ডাভের এ কেমন বিজ্ঞাপন!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৬:৪৯ এএম, ০৯ অক্টোবর ২০১৭

বর্ণবাদী বিজ্ঞাপন প্রচারের অভিযোগে ব্যাপক সমালোচনার মুখে ক্ষমা চেয়েছে প্রসাধনী পণ্যের আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ডাভ। ফেসবুকে প্রচারিত নতুন একটি বিজ্ঞাপনে দেখা যায়, ডাভ সাবান ব্যবহারের পর একজন কৃষ্ণাঙ্গ নারীর শরীরের রঙ পুরোপুরি পরিবর্তন হয়ে গেছে। কৃষ্ণাঙ্গ থেকে মুহূর্তের মধ্যেই শেতাঙ্গ হয়ে যান তিনি। বিতর্কিত এই বিজ্ঞাপন প্রকাশের ব্যাপক সমালোচনায় পড়েছে ডাভ।

ফেসবুকে তিনটি ছবি যুক্ত ওই বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে ডাভ। এতে দেখা যায়, এক কৃষ্ণাঙ্গ তরুণী তার শরীরের টি-শার্ট খুলে ফেলছেন। তার চামড়ার নিচে একজন সাদা নারীকে প্রকাশ করতে টি-শার্ট খুলে ফেলেন তিনি। তৃতীয় ছবিতে টি-শার্ট খুলে ফেলার পর মুহূর্তের মধ্যেই কৃষ্ণাঙ্গ থেকে একজন শেতাঙ্গ এশীয় নারী বেরিয়ে আসে।

সমালোচনার মুখে টুইটারে এক বিবৃতিতে ক্ষমা চেয়েছে ডাভ। প্রসাধনী পণ্যের এই ব্র্যান্ড টুইটে বলছে, ‘আমরা এই অপরাধে গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি।’

Dove-Racist-Ad-1

ফেসবুক থেকে বিজ্ঞাপনের ভিডিও সরিয়ে নিয়েছে ডাভ। তবে মার্কিন মেক আপ আর্টিস্ট ন্যা মুয়া দেখেছেন, ফেসবুক ফিডে বিজ্ঞাপনের ওই ছবি আসছে এবং তার ভক্তদের সঙ্গে ছবিটি শেয়ার করেছেন তিনি।

ডাভের এই বিজ্ঞাপন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই এই ব্র্যান্ডের বর্ণবাদের অভিযোগ এনেছেন। তবে এর বিপক্ষেও অনেকেই কথা বলেছেন। ন্যা মুয়ার পোস্টের নিচে একজন লিখেছেন, ‘আমি মনে করি, তারা সব ধরনের ত্বকের জন্য এই সাবান ব্যবহারের উপযোগিতা সম্পর্কে জানাতে চেয়েছে। এটি কৃষ্ণাঙ্গ, শেতাঙ্গ ও অন্যান্যরাও ব্যবহার করতে পারেন।’

অন্য একজন লিখেছেন, ‘তৃতীয় নারী যে শেতাঙ্গ নন; তা নিশ্চিত। তবে এটি খারাপ বার্তা দিয়েছে যে, সবাই এই সাবান ব্যবহার করতে পারে।’

Dove-Racist-Ad-1

এর আগে ২০১১ সালে ডাভের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী বিজ্ঞাপন প্রচারের অভিযোগ উঠে। সেই সময় তিনজন নারীর ডাভ সাবান ব্যবহারের আগের ও পরের একটি ছবি প্রকাশ করে; যেখানে হালকা উজ্জ্বল ত্বকের নারীকে ফলাফলের জন্য শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলা হয়।

২০১৫ সালে আবারও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে ডাভ। গ্রীষ্মের সময় ব্যবহারের জন্য একটি ক্রিমের বিজ্ঞাপন প্রচার করে; যেখানে কালো ত্বকের নারীরা গ্রীষ্মকাল ছাড়াও ওই ক্রিম ব্যবহার করতে পারবেন বলে বার্তা দেয়া হয়।

সূত্র: বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান।

এসআইএস/জেআইএম

আরও পড়ুন