ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

আত্মসমর্পণের আগেই গ্রেফতার হানিপ্রীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১:৫৮ এএম, ০৩ অক্টোবর ২০১৭

দুজন শিষ্যকে ধর্ষণের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ভারতের বিতর্কিত ধর্মগুরু গুরপ্রীত রাম রহিমের পালিত কন্যা হানিপ্রীত ইনসানকে গ্রেফতার করেছে হরিয়ানা পুলিশ। মঙ্গলবার চণ্ডীগড় জাতীয় সড়কের কাছ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ইন্ডিয়া টুডেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকার হানিপ্রীত বলেছিলেন, ‘আমি কোথাও যাইনি। নেপাল তো নয়ই। ভারতেই ছিলাম। আসলে সকলের সামনে আসতে পারিনি, এতটাই ডিপ্রেশনে ছিলাম। পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করব।’

চলতি বছরের অাগস্টের শেষের দিকে রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করার দিন থেকেই পলাতক ছিলেন হানিপ্রীত। সীমান্ত পেরিয়ে তিনি নেপালে চলে গেছেন বলেও অভিযোগ ওঠে।

এতোদিন হানিপ্রীতের কোনো সন্ধান করতে পারেনি পুলিশ। গত সপ্তাহে দিল্লি হাইকোর্টে তার আইনজীবী ট্রানজিট অ্যান্টিসিপেটরি জামিনের আবেদন করেন। আদালত সেই অাবেদন খারিজ করে দিয়ে আদালত তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই অনুযায়ী আত্মসমর্পণও করতে চেয়েছিলেন হানিপ্রীত।

ইন্ডিয়া টুডেকে দেয়া ওই সাক্ষাৎকারে হানিপ্রীত আরও জানান, তিনি নির্দোষ। কোনো ঘটনার সঙ্গেই তার সংশ্লিষ্টতা নেই। এমনকি বাবা রাম রহিমও নির্দোষ। তার দাবি, ‘সত্য একদিন সামনে আসবেই। তখন গোটা দুনিয়া আমার কথা মিলিয়ে নিতে পারবে।’

তিনি আরও দাবি করেন, ‘আমরা প্রবলভাবে দেশভক্ত। দেশকে প্রচণ্ড ভালবাসি। পাশাপাশি আমি আইন মেনে চলা এক জন নারী। তাই এই তদন্তে সব রকমভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত আছি।’ হানিপ্রীতের ঘনিষ্ঠজনরাও বলছিলেন, শিগগিরই হানিপ্রীত আত্মসমর্পণ করবেন।

তবে, সে ক্ষেত্রে কিছু শর্তও দিয়েছিলেন হানিপ্রীত। সেইসব শর্ত পূরণ হলেই ধরা দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। এরই মধ্যে মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করা হয়।

তার বিরুদ্ধে গুরমিতের একাধিক বেআইনি কাজে সাহায্য করা, পঞ্চকুলা ও সিরসায় বিশৃঙ্খলায় মদদ দেয়াসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

রাম রহিমকে যেদিন পঞ্চকুলার আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়, সেদিন তার সঙ্গে ছিলেন হানিপ্রীত। কিন্তু, রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করার পরেই পঞ্চকুলায় চূড়ান্ত তাণ্ডব চালায় ডেরা সাচ্চা সৌদার ভক্তেরা।

হানিপ্রীতের নির্দেশেই সেই তাণ্ডব হওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ প্রসঙ্গে হানিপ্রীত বলেছিলেন, ‘আমাকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, তাতে এখন নিজেকেই নিজে প্রচণ্ড ভয় পাচ্ছি। চূড়ান্ত মানসিক চাপে রয়েছি অামি। কী করব কিছুই বুঝতে পারছি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি একা মেয়ে। আর এতো নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আমাকে প্রশাসন অনুমতি না দিলে কীভাবে আদালত চত্বরে যেতাম! কী ভাবেইবা বাবার সঙ্গে হেলিকপ্টারে উঠতাম! তারাই আমাকে অনুমতি দিয়েছিল।;

তিনি আরও জানান, ‘আমি কোথায় ছিলাম, তাণ্ডবের সময়! আর বাবাকে দোষী সাব্যস্ত করার পর ভীষণ ভেঙে পড়ি। কীভাবে আমি জড়িত থাকব বলুন তো?’

কেএ/আইআই

আরও পড়ুন