ডমিনিকা লণ্ডভণ্ড করে গেছে মারিয়া
হ্যারিকেন মারিয়ার আঘাতে ডমিনিকায় এ পর্যন্ত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। লণ্ডভণ্ড হয়েছে ক্যারিবীয় অঞ্চলের ছোট্ট এ দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রায় সম্পূর্ণটা।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডমিনিকার অন্তত ৮০ শতাংশ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
৭১ হাজার জনসংখ্যার দেশটির অনেকেই এখন তাদের বিস্ময়ের ঘোর কাটিয়ে উঠতে পারেননি। গেল এক সপ্তাহ রয়েছে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন।
ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য ভবনের সঙ্গে বাজারও ব্যাপক আকারে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াতে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট।
৭৮ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন তিনি গত কয়েকদিন না খেয়ে রয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রথমে যখন ঝড় শুরু হয় আমি বাইরেই ছিলাম। দেখার জন্য আমি বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকলাম। কিন্তু পরে দেখি ঝড়ের জোর বাড়তেই আছে, তখন আমি ঘরের ভেতর ঢুকে পড়ি। আর তখনই দেখলমা আমি ঠিক যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম সেখানে একটা ভবনের ছাদ ধসে পড়ল।
ঝড়ের তাণ্ডবের পর উদ্ধার তৎপরতা এখনও চলছে, তবে দেখা দিয়েছে খাবার পানির তীব্র সংকট। পানির জন্য মানুষের আরও অপেক্ষা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
ঝড় কতটা তীব্র ছিল তা বোঝাতে বলা হচ্ছে, ডমিনিকার অনেক অংশের আর কোনো অস্তিত্বই নেই।
প্রাণ-আড্ডা, আনন্দে ভরপুর দ্বীপটি এখন পরিণত হয়েছে কেবল একটি ধ্বংসস্তুপে।
উদ্ধার কাজে নিয়োজিতরা বলছেন, ডমিনিকার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে যদি বছর নাও লেগে যায় কয়েক মাস তো লাগবেই।
এনএফ/জেআইএম