মুম্বাই এসেছিলেন দাউদের স্ত্রী
গেল বছর কোনও এক সময় মুম্বাইয়ে এসে নিজের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন দাউদ ইব্রাহিমের স্ত্রী মেহজাবিন শেখ ওরফে জুবিনা জেরিন। জেরার মুখে তদন্তকারীদের এই তথ্যই দিয়েছেন দাউদের ভাই ইকবাল কাসকর।
মঙ্গলবার গ্রেফতার হয়েছেন ইকবাল। এরপর থেকে চলছে তাকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ। ইকবাল মূলত দাউদের রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা দেখাশোনা করতেন।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সূত্রের দাবি, ইকবাল জানিয়েছে গত বছর মুম্বইয়ে এসেছিলেন দাউদের স্ত্রী মেহজাবিন।
তবে ঠিক কোন সময়ে তিনি মুম্বাই ঘুরে গেছেন সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি মেহজাবিন। বাবা সেলিম কাশ্মীরির সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তিনি।
এরআগে দাউদের পাকিস্তানে থাকার তথ্যও পুলিশকে দিয়েছেন ইকবাল। দাউদের সঙ্গে তার আরেক ভাই আনিস ইব্রাহিম ও সঙ্গী ছোটা শাকিলও রয়েছেন বলেও তথ্য এসেছে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে।
জেরার মুখে ইকবাল পুলিশকে জানিয়েছে, তিন বছরে অন্তত চার বার ঠিকানা বদলেছেন দাউদ। বেড়েছে তার নিরাপত্তাও। ভারতীয় কোনও তদন্তকারী সংস্থা যাতে আড়ি না পাততে পারে, তাই ফোনে ভারতের আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছেন দাউদ। ঈদের মতো কোনও উৎসবের সময়ে আনিস বাড়িতে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়ে দেন।
দাউদের ব্যবসার পরিধি আগের চেয়ে বেড়ে দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকাতেও বিস্তৃত হয়েছে বলেও দাবি ইকবালের। দক্ষিণ আফ্রিকার মাদক মাফিয়াদের সঙ্গে দাউদের রীতিমতো যোগাযোগ আছে বলেও জানিয়েছেন ইকবাল।
এরআগে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার প্রধান রাজ ঠাকরে দাবি করেন, দাউদ অসুস্থ। জীবনের শেষ সময়টুকু নিজের দেশে কাটাবে বলে তিনি নিজেই কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে ভারতে ফিরতে চাইছেন।
আর ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে নয়াদিল্লিও সুযোগটা লুফে নেয়ার চেষ্টা করছে বলে তোপ দেগেছিলেন তিনি।
তাবে জেরায় ইকবাল আবার জানিয়েছেন, দাউদ সুস্থই রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের মাস্টার মাইন্ড ছিল দাউদ ইব্রাহিম। ওই বিস্ফোরণে ২৫৭ জনের মৃত্যু হয়। গত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানের করাচিতে রয়েছে - এ বিষয়ে ভারতের কাছে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে বলেও বিভিন্ন সময় বলা হয়েছে।
এনএফ/এমএস