ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

মেয়েকে দলগত ধর্ষণের ‘সাক্ষী’ হলেন বাবা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০২:০৯ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মিয়ানমার সীমান্তের অদূরে বাংলাদেশের কক্সবাজার কতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় শিবির। হাজার হাজার নারী, শিশুসহ বৃদ্ধরা এখনও মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে এখানে আশ্রয় নিচ্ছে।

২৫ আগস্টের পর চার লাখ ১০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। রাখাইনে সব কিছু ফেলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা এসব রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পের জীবন সম্পর্কে নেই কোনো ধারণা। অথচ সেখানেই মানবেতর জীবন কাটাতে হচ্ছে তাদের। শরণার্থী শিবিরে মানবেতর জীবন যাপন করা রোহিঙ্গারা শোনাচ্ছেন মিয়ানমার ছেড়ে আসার বিভৎস অভিজ্ঞতার কথা।

কক্সবাজার থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে কুতুপালং রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির। মঙ্গলবার মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো লিডার অং সান সু চি জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে রোহিঙ্গারা কেন পালিয়ে যাচ্ছে তার কারণ না জানার দাবি করার পর পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির মণিদীপা ব্যানার্জি।

৪০ বছর বয়সী বেগম সঞ্চিতা ১০ বছরের শিশুকে নিয়ে পালিয়ে এসেছেন। তখনও হিজাবে মুখ ঢেকে রেকেছেন সঞ্চিতা। কালো দাগ পড়ে গেছে চোখের পাতায়। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তাণ্ডবে বাড়িঘর ছেড়ে জীবন বাঁচাতে পালিয়ে এসেছেন তিনি। তার চোখের সামনেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে তার স্বামীকে।

cox-roh.jpg

নয়মাস বয়সী শিশু মুহাম্মদ হারুনকে নিয়ে পালিয়ে এসেছেন আনোয়ারা বেগম। তার স্বামীকেও গুলি করে হত্যা করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।

আর ৪০ বছর বয়সী মুহাম্মদ কাসিমের সামনে দলগত ধর্ষণ করা হয়েছে তার মেয়েকে। সেনাবাহিনীর হাত থেকে মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তার উরুতে গরম ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তিনি এখন জানেন না কোথায় আছে স্ত্রী, সন্তান। বাড়িতে তার ব্যবহারের গাড়িও ছিল। সব ফেলে বাংলাদেশে নিঃস্ব হয়ে দিনাতিপাত করছেন তিনি।

চোখের সামনে মেয়েকে ধর্ষণ করতে দেখার পরও বেঁচে আছেন কাসিম। তবে তার সেই বেঁচে থাকা অনেকটাই নিষ্প্রাণ। দুঃসহ সেই স্মৃতি সারাক্ষণ তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে কাসিমকে।

কুতুপালং আশ্রয়কেন্দ্র থেকে টেকনাফ পর্যন্ত রাস্তার দু'পাশে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সম্বলিত ব্যানার শোভা পাচ্ছে। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘আমরা মানবতার পাশে আছি।’

কক্সবাজারের একজন দোকানি হিজবুল আলম এনডিটিভিকে জানান, ‘ভারত যদি আমাদের আশ্রয় না দিত, তাহলে সেসময় আমাদের অবস্থা রোহিঙ্গাদের মতোই হতো। বিশ্ববাসীর উচিত তাদের সাহায্য করা।’

সূত্র : এনডিটিভি

কেএ/জেআইএম

আরও পড়ুন