বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বিপর্যস্ত রোহিঙ্গারা
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা ডাইরিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এছাড়া শিশুরাও চর্মরোগ ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। খবর বিবিসি।
মিয়ানমারের সাম্প্রতিক সহিংসতা শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এখনও সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আসছে অনেক রোহিঙ্গা। টেকনাফ ও উখিয়ার রাস্তাঘাট সহ বিভিন্ন এলাকায় তারা অবস্থান করছেন।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বাস্থ্যসেবার বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী সিভিল সার্জন ডাঃ মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর বিবিসিকে জানান, শুরুতে প্রস্তুতি কম থাকলেও শেষ পর্যন্ত তারা যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পেরেছেন।
তিনি বলেন, ‘এটা সত্যি যে শুরুতে আমাদেরও প্রস্তুতি ছিল না। কিন্তু ব্যাপক শরণার্থী আসার পরপরই আমরা একটা পর্যালোচনা করি এবং কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে শুরু করি।’
তিনি বলেন, বিশেষ করে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি, স্বাস্থ্যসম্মত সেনেটারির মতো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এজন্য উখিয়া ও টেকনাফে কিছু মেডিকেল টীমও গঠন করে দেয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে।
সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে এবং এর প্রতিটি দিয়ে ২০ লিটার পানি বিশুদ্ধ করা সম্ভব।
ডায়রিয়ার মতো রোগ প্রতিরোধেও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ১ লাখ ১৩ হাজার শিশুকে ভ্যাকসিন দেয়ার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে বলেন জানান তিনি।
তিনি জানান, মূলত ডায়রিয়া, চর্মরোগ, নিউমোনিয়া আর চোখের প্রদাহতে ভুগছেন অনেক রোহিঙ্গা। এছাড়া অনেকেই সেনাবাহিনীর গুলি এবং অত্যাচারের কারণে আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশে এসে স্বাস্থ্যসেবা পেয়েছে প্রায় এক হাজার প্রসূতি রোহিঙ্গা নারী। মোহাম্মদ আলমগীর জানিয়েছেন সরকারের তরফ থেকে পর্যাপ্ত ওষুধ চলে এসেছে।
কুতুপালংয়ে স্যাটেলাইট ক্লিনিকে অনেক রোহিঙ্গাকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে আর এ মূহুর্তে সদর হাসপাতালেও ৭শর মতো রোহিঙ্গা রোগী ভর্তি আছে বলে জানান তিনি।
টিটিএন/আইআই