ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক ইন্দোনেশিয়ার উগ্রপন্থীদের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৩:৩১ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিপীড়নের ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা হলেও বিশ্বের সবচাইতে বড় মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়াতে বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখা হচ্ছে।

দেশটিতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের রক্ষায় মিয়ানমারে গিয়ে লড়াই করা নিয়ে কথাবার্তা অনেক বেড়ে গেছে। রোহিঙ্গাদের শহীদ বা মিয়ানমারের বিরুদ্ধে লড়াইকে জিহাদ হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে।

বিবিসির মনিটরিং এর এক গবেষণা বলছে, সেখানে জঙ্গি এবং উগ্র ইসলামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসীরা মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়নের ছবি সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমের সাহায্যে আদান-প্রদান করছেন।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কেমন আলাপ হচ্ছে, তা নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে এ ধরনের তথ্য পেয়েছে বিবিসি মনিটরিং।

rohingya

ক্রিমজন হেক্সাগন নামের একটি সোশাল মিডিয়া অ্যানালিটিকাল টুল দিয়ে এমন তথ্য মিলেছে। যেখানে দেখা ২৫ আগস্টের পর থেকে মিয়ানমারে নতুন করে সঙ্কট শুরুর পর থেকে এ ধরনের কথাবার্তা বাড়তে শুরু করেছে।

বিশেষ করে সেপ্টেম্বরের ৪ তারিখ সে নিয়ে সবচাইতে বেশি আলোচনা হয়েছে। সেদিনই দেশটির কট্টর ইসলামপন্থী দল ‘ইসলাম ডিফেন্ডারস ফ্রন্ট’ মিয়ানমারে গিয়ে লড়াই করতে আগ্রহী এমন ব্যক্তিদের জন্য একটি রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি শুরু করে।

ইন্দোনেশিয়াতে ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর সমর্থকরাও মুসলিমদের মিয়ানমারে গিয়ে লড়াই শুরু করার ব্যাপারে উৎসাহিত করছে। রোহিঙ্গাদের লড়াইয়ে অংশ নেয়ার ডাক দেয়া হয়েছে এমন একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ৭৬ হাজারের বেশি বার ক্লিক পড়েছে।

ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও আল কায়েদার সমর্থক সংগ্রহকারীরা রোহিঙ্গা ইস্যুটি ব্যবহার করছে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

rohingya

ফিলিপাইনের উগ্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠী আবু সায়াফকেও তাতে অংশ নেয়ার ব্যাপারে ডাক দেয়া হচ্ছে। ইনস্টাগ্রামে বিশেষ বার্তায় ব্যবহার করা হচ্ছে বিশেষ হ্যাশট্যাগ।

এমনকি কেউ কেউ ভিডিও শেয়ার করে এমনও দাবি করছেন যে, মিয়ানমারে ইতিমধ্যেই লড়াইয়ের জন্য তাদের সদস্যরা পৌঁছে গেছে।

বাংলাদেশ থেকেও লড়াই করতে আগ্রহীরা মিয়ানমারে প্রবেশ করছেন এমন কথাবার্তাও ইন্দোনেশিয়াতে উগ্র ইসলামপন্থীদের পোষ্টগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে। বিবিসি বাংলা।

কেএ/আইআই

আরও পড়ুন