সংখ্যালঘু সুরক্ষায় সু চিকে জাস্টিন ট্রুডোর আহ্বান
মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেতা অং সান সু চির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বুধবার সু চির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার সময় রাখাইনে রোহিঙ্গা নিপীড়নের ঘটনায় ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেন তিনি।
সু চিকে দেয়া কানাডার সম্মানসূচক নাগরিকত্ব বাতিলের আহ্বান জানিয়ে দেশটির নাগরিকরা গত পাঁচদিনে ১০ গহাজার স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন। রোহিঙ্গা নিপীড়নের ঘটনায় সু চির নাগরিকত্ব বাতিলে অনলাইন পিটিশনে স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান চালাচ্ছেন কানাডার নাগরিকরা। এর মাঝেই মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টার সঙ্গে টেলিফোনে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ট্রুডো।
মিয়ানমারে গণতন্ত্র ও অবাধ স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে দীর্ঘ লড়াই চালিয়েছেন সু চি। এর প্রেক্ষাপটে ২০০৭ সালে সু চিকে কানাডার সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেয়া হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেয়া এক টুইট বার্তায় ট্রুডো বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য আজ আমি অং সান সু চির সঙ্গে কথা বলে কানাডার গভীর উদ্বেগ জানিয়েছি।
গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির পুলিশের ৩০টি তল্লাশি চৌকি ও একটি সেনাক্যাম্পে হামলা চালায় রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা। এ হামলার জেরে রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর রোহিঙ্গাবিরোধী ক্লিয়ারেন্স অপারেশনে ৩ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে।
এক বিবৃতিতে ট্রুডো বলেন, তিনি সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকারের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সু চির সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
টেলিফোনে ট্রুডো সু চিকে বলেন, রাখাইনের সহিংসতার অবসান ঘটাতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বেসামরিক নেতাদের জরুরি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। একই সঙ্গে বেসামরিক সুরক্ষা ও জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোর ত্রাণ বিতরণে রাখাইনে প্রবেশের অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানান।
মিয়ানমারে শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল সমাজ গড়ে তুলতে কানাডার সহায়তা করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রুডো।
সূত্র : আনাদোলু।
এসআইএস/পিআর