ছন্দে ফেরার চেষ্টায় দার্জিলিং
ছন্দে ফিরছে দার্জিলিং। কাজে ফিরছে লালকুঠিতে জিটিএ-র সদর দফতরের কর্মকর্তারা। মোর্চার প্রভাবিত জিটিএ-র অস্থায়ী কর্মীদের সংগঠনের সদস্যরা জিটিএ সচিব সি মুরুগনের সঙ্গে দেখা করে জানিয়ে দিয়েছেন তারাও আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে কাজে যোগ দেবেন। খবর- আনন্দবাজার।
খবরে বলা হয়, দার্জিলিং সরকারি কলেজের ৩০ জন শিক্ষককে পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পাকদণ্ডী বেয়ে পিঠে ব্যাগ নিয়ে যেতে দেখা গেছে স্কুল শিক্ষার্থীদেরও। তবে পরনে ইউনিফর্ম নয়, ছিল অন্য রঙিন পোশাক। এক অভিভাবক জানান, ‘রাস্তায় কেউ যদি কিছু বলে, তাই ইউনিফর্ম পরতে বারণ করেছি।’
এদিকে এ ছন্দ যেন বজায় থাকে এবং পূজার আগেই পাহাড় স্বাভাবিক হয় সে বিষয়ে ঘোষণা দিয়েছে রাজ্য সরকার। তার মধ্যে রয়েছে- ১৫ সেপ্টেম্বরের আগে কাজে যোগ দিলে অগ্রিম বেতন দেয়া, চা বাগান নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক, পাহাড়ে রেশন ব্যবস্থা স্বাভাবিক করা ইত্যাদি।
দেশটির খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, চলতি সপ্তাহেই পাহাড়ে রেশন ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। কার্শিয়াং, কালিম্পংকের মতো এ দিন দার্জিলিংকে কয়েকটি ব্যাংক খুলেছে। তবে ইন্টারনেট অচল হওয়ায় এটিএম বুথে টাকা নেই।
এ ছাড়া দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং ও মিরিক -চার জায়গাতেই বাস ও গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে। ২০টি করে গাড়ির কনভয় যাতায়াত করেছে পাহাড়ে। তবে সঙ্গে কড়া নিরাপত্তাবেষ্টনি রয়েছে।
আরএস/আরআইপি