মিয়ানমারকে কড়া জবাব দেয়া হবে : আল-কায়েদা
রোহিঙ্গা নিপীড়নের জন্য মিয়ানমারকে কড়া জবাব দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদা। রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রতি সমর্থনের আহ্বান জানিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের এই জঙ্গিগোষ্ঠী বলছে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জন্য কঠিন ‘শাস্তি’ পেতে হবে মিয়ানমারকে।
গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির পুলিশের ৩০টি তল্লাশি চৌকি ও একটি সেনাক্যাম্পে হামলা চালায় রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা। এ হামলার জেরে রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর রোহিঙ্গাবিরোধী ক্লিয়ারেন্স অপারেশনে ৩ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে হামলার সঙ্গে জড়িত আল-কায়েদা এক বিবৃতিতে মিয়ানমারের মুসলিমদের ত্রাণ, অস্ত্র ও সামরিক সমর্থন দিয়ে সহায়তায় এগিয়ে আসতে বিশ্বের মুসলিমদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
জঙ্গি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারী মার্কিন গ্রুপ সাইট ইনটেলিজেন্স আল-কায়েদার বিবৃতির বরাত দিয়ে বলছে, আমাদের মুসলিম ভাইয়েরা বর্বর হামলার সম্মুখীন হয়েছে...শাস্তি ছাড়া আমরা এই বিষয়টি ছেড়ে দেব না।
‘মিয়ানমার সরকার আমাদের মুসলিম ভাইদের যে ধরনের পরিস্থিতিতে ফেলেছে, তাদেরও একই ধরনের পরিস্থিতি ভোগ করতে হবে।’
মিয়ানমার সরকার বলছে, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দেশটির আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বৈধ অভিযান পরিচালনা করছে। দেশটির পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বেসামরিকদের ওপর হামলার অভিযোগে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর দাবি করেছে মিয়ানমার।
এদিকে মিয়ানমারের প্রধান প্রধান শহরগুলোতে বোমা হামলা হতে পারে বলে সতর্ক দিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে আল-কায়েদা দেশটিকে কঠিন শাস্তি পেতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
আল-কায়েদার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও ফিলিপাইনে আমাদের মুজাহিদ ভাইদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে, মুসলিম ভাইদের সহায়তা করতে বার্মার উদ্দেশে বেরিয়ে পড়ুন। এজন্য প্রশিক্ষণ নেয়াসহ প্রতিরোধ গড়তে অন্যান্য প্রস্তুতিও সম্পন্ন করুন।
অন্যদিকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর যে সহিংসতা চলছে সেজন্য দক্ষিণ এশিয়াকে চরম মূল্য দিতে হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে মালয়েশিয়া। রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর অত্যাচার, নিপীড়নের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সমর্থকরা বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা চালাতে পারে বলে সতর্ক করেছেন মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাতুক সেরি হিসামুদ্দিন সতর্ক করে বলেছেন, জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট রাখাইনে শক্ত অবস্থান তৈরির পথ খুঁজছে। এজন্য সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা সংকটকে কেন্দ্র করেই তারা নিজেদের পরিকল্পনা তৈরি করতে পারে। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালাচ্ছে সেনাবাহিনী।
সূত্র : রয়টার্স।
এসআইএস/জেআইএম/আরআইপি