বাংলাদেশে এসেছে তিন লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা
২৫ আগস্টের পর থেকে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধদের নিপীড়নের হাত থেকে জীবন বাঁচাতে এখন পর্যন্ত তিন লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। মঙ্গলবার জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার প্রধানের মুখপাত্র লিওনার্দো দোলে জানান, শরণার্থীর ঢলে বাংলাদেশ সীমান্তে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
সোমবার শরণার্থী বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থার দেয়া হিসাবের তুলনায় মঙ্গলবারের এই পরিসংখ্যানে ৫৭ হাজার বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের তথ্য রয়েছে।
বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে সক্ষম রোহিঙ্গারা জানান, সেনাবাহিনী এবং বৌদ্ধরা মিলে নারী, পুরুষ এবং শিশুদের হত্যা, নির্যাতন এবং ধর্ষণ করছে। বাড়িঘরে আগুন দিচ্ছে তারা, লুটপাট করছে সমানহারে।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অন্তত তিন হাজার রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। রোহিঙ্গাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে তুরস্ক; প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান জানিয়েছেন, জাতিসংঘের কাছে রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে কথা বলবেন তিনি।
মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়া জানিয়েছে, বাংলাদেশের রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্রে তারা চাল, কম্বল এবং জামাকাপড়সহ ত্রাণ সহায়তা করবে।
২০১৬ সালের অক্টোবরে রাখাইনের বেশ কিছু স্থানে হামলার জেরে সেনাবাহিনীর পাঁচ মাস ধরে চলা অভিযানে চার শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল এ ব্যাপারে তদন্ত করে একটি রিপোর্ট দেন। তাতে দলগত ধর্ষণ, গণহত্যা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে।
আন্তর্জাতিক মহল থেকে সু চির উদ্দেশে একের পর এক আহ্বান আসছে। তবে শান্তিতে নোবেল জয়ী নেত্রী অং সান সু চি রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেননি। উল্টো রোহিঙ্গাদেরই দুষেছেন তিনি।
সূত্র : এএডটকম
কেএ/এমএস