আফগানিস্তানে প্রভাব বাড়ানোর সুযোগ পেল ভারত
আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালাউদ্দিন রব্বানি জানিয়েছেন, ‘আফগানিস্তানের জাতীয় সেনাবাহিনীকে আরও বেশি করে সহায়তা করতে রাজি হয়েছে ভারত।’
নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্তী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে বৈঠকের পর ভারতের এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন রব্বানি।
এর অর্থ, আফগানিস্তানের নিরাপত্তা এবং পুনর্গঠনে সহায়তার হাত আরও লম্বা করছে ভারত। সুষমার ভাষায়, ‘ভারত এবং আফগানিস্তান নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সমন্বয় আরও জোরদার করবে।’
তিনি আরও বলছেন, ‘আফগানিস্তানের চাহিদার কথা মাথায় রেখে আমরা সে দেশের সঙ্গে উন্নয়নের প্রশ্নে এক নতুন অংশীদারিত্ব শুরু করছি। ১১৬টি নতুন হাই ইমপ্যাক্ট উন্নয়ন প্রকল্প যৌথভাবে রূপায়ণ করা হবে; যা কাবুলের আর্থ-সামাজিক এবং পরিকাঠামো ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনবে।’
দিন কয়েক আগেই আফগানিস্তান বিষয়ে নীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। ওই ঘোষণায় দুটি বিষয় ছিল। একটি নয়াদিল্লিকে আরও এগিয়ে আসার আহ্বান ছিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পেন। অপরটি পাকিস্তানের জন্য ছিল হুঁশিয়ারি।
বিষয়টিকে বেশ ইতিবাচকভাবেই দেখছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কারণ, বহু দিন পর আফগানিস্তানে প্রভাব বাড়ানোর মতো আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কাবুলে নিজেদের জমি আরও পোক্ত করার অর্থ দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় নিরাপত্তা এবং বাণিজ্যক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থায় চলে যাওয়া; পাকিস্তানের কারণে যেটা বহু বছর হয়ে ওঠেনি।
সুষমা-রব্বানি বৈঠকে একযোগে ‘পাকিস্তানের মদতপুষ্ট’ জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈয়বা, জইশ ই মুহাম্মদের নিন্দা করা হয়েছে। অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য প্রকারান্তরে দায়ী করা হয়েছে ইসলামাবাদকে।
সূত্র: আনন্দবাজার।
এনএফ/জেআইএম