ঘূর্ণিঝড় ইরমার তাণ্ডবে ক্যারাবিয়ান অঞ্চলে নিহত ১৪
ক্যারিবীয়ান অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ইরমার তাণ্ডবে অন্তত ১৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া উপড়ে পড়েছে গাছ, তছনছ হয়ে গেছে ঘরবাড়ি-হাসপাতাল।
ক্যারাবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করার পর ঘূর্ণিঝড়টি আটলান্টিক মহাসাগরের দ্বীপ রাষ্ট্র হাইতি এবং ককেস দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হেনেছে।
হাইতিতে ২০১০ সালের ক্ষয়ক্ষতির ধকল কাটতে না কাটতেই ঘূর্ণিঝড় ইরমা আঘাত হানে। অন্যদিকে, ইরমা ৬ মিটার বা ২০ ফুট উঁচু ঢেউ নিয়ে টার্কস ও ককেস-এ আঘাত হানার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া অধিদফতর। এতে আরও ভয়ানক কিছু ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
এ অঞ্চলে এখন পর্যন্ত সব থেকে বেশি ভয়াবহ রূপ ধারণ করা ঘূর্ণিঝড় ইরমা। ক্যাটাগরি-৫ এ রয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি। ঘণ্টায় একশ ৮৫ মাইল বা দুইশ ৯০ কিলোমিটার গতিবেগ ইরমার।
ইরমার তাণ্ডবে ইতোমধ্যে ১ দশমিক ২ মিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য জানিয়েছে রেড ক্রস। মোট ২৬ মিলিয়ন মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় ফেলবে ইরমা।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিভিন্ন ধরনের রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। নেদারল্যান্ডস, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে ত্রাণবাহী জাহাজ পাঠিয়েছে। তবে বৈরি আবহাওয়ার কারণে সেখানে ত্রাণ পৌঁছাতে অসুবিধা হচ্ছে। স্থানীয় বন্দর এবং বিমানবন্দরগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ইরমা তাণ্ডব শুরু করে এন্টিগুয়া ও বারবুডায় আঘাতের মধ্য দিয়ে। বারবুডার প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউন দেশটিকে বর্তমানে প্রায় বাস অযোগ্য হিসেবে উল্লেখ করেন।
ককেস দ্বীপপুঞ্জের গভর্নর জন ফ্রীম্যান বলেন, নিচু দ্বীপগুলো থেকে আমরা বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়েছি। আমাদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোকে প্রস্তুত করছি। নিচু এলাকার মানুষেরা সবথেকে ঝুঁকিতে রয়েছেন।
দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক ভার্জিনিয়া ক্লেভারেক্স বলেন, ইরমার প্রভাবে হওয়া জলচ্ছ্বাসে দ্বীপ এলাকাগুলো তলিয়ে যেতে পারে। আমরা সবাইকে মনে করিয়ে দিচ্ছি যে এটা ক্যাটাগরি-৫ মাত্রার ঘূর্ণিঝড়; যা এই অঞ্চলের ইতিহাসে সব থেকে ভয়াবহ।
সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স
কেএ/পিআর