ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

সু চির নোবেল কেড়ে নিতে ৩ লাখ ৭৮ হাজার আবেদন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৩:০৪ এএম, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মিয়ানমারের ‘গণতন্ত্রকামী’ নেত্রী অং সান সু চির নোবেল পুরস্কার কেড়ে নেয়ার দাবিতে শুরু হওয়া অনলাইন পিটিশনে এরই মধ্যে স্বাক্ষর করেছেন প্রায় ৩ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ।

রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান হত্যা-নির্যাতনে সু চির নির্লিপ্ততা ও তার সরকারের রোহিঙ্গা বিদ্বেষের পরিপ্রেক্ষিতে এ অনলাইন পিটিশন শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৯টা পর্যন্ত চেঞ্জ ডট ওআরজি নামে একটি সাইটে এসব মানুষ স্বাক্ষর করেছেন।

৭ সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইনে এ পিটিশনে স্বাক্ষরের মাধ্যমে শান্তিতে পাওয়া সু চির নোবেল বাতিল করতে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির কাছে আহ্বান জানানো হচ্ছে।

প্রাথমিকভাবে ৫ লাখ মানুষের স্বাক্ষর সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়, দুইদিন না যেতেই লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছেছে স্বাক্ষরকারীদের সংখ্যা।

এই পিটিশনে স্বাক্ষরকারীদের দাবি, ১৯৯১ সালে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি শান্তিতে যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তা নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান ‘জব্দ’ করবেন অথবা ‘ফেরত নেবেন’।

protesters

এদিকে, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এই পিটিশন; বিশেষ করে টুইটারে। এছাড়া ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপেও অনেকেই শেয়ার করছেন পিটিশনে স্বাক্ষরের লিংক।

পিটিশনে নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে সু চির নোবেল জব্দ বা ফেরত নেওয়ার দাবির পাশাপাশি পুরস্কার বাবদ প্রাপ্ত ৬০ লাখ সুইডিশ ক্রোনাও ফেরত নেওয়ার দাবি উঠেছে।

এরআগে গত ৫ সেপ্টেম্বর সু চির নোবেল পুরস্কার কেড়ে নেওয়া হবে কিনা কিংবা তা সম্ভব কিনা এসব নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।

গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর দেড় লাখেরও রোহিঙ্গা মুসলিম ও কিছু সংখ্যক হিন্দু বাংলাদেশে পালিয়ে আসার ঘটনায় আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রয়েছে মিয়ানমার।

রোহিঙ্গা বিতাড়নের ঘটনায় আন্তর্জাতিক; বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোর উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিশ্ব নেতাদের ১১ লাখ রোহিঙ্গার সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, রাখাইনে রোহিঙ্গারা গণহত্যার মুখে রয়েছেন।

এছাড়া গত ৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরাস রাখাইনে জাতিগত নিধনের ঝুঁকি ও আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা তৈরির ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন।

এসআর/এমএস

আরও পড়ুন