রাখাইনে পৌঁছেছে তুরস্কের এক হাজার টন ত্রাণ
মিয়ানমারের রাখাইনে তুরস্কের ত্রাণবাহী প্রথম একটি জাহাজ পৌঁছেছে। তুর্কিশ কো-অপারেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন অ্যাজেন্সি (টিআইকেএ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। টিআইকেএ বলছে, বুধবার রাখাইনে তুরস্কের ওই জাহাজ পৌঁছেছে।
টিআইকেএ এক বিবৃতিতে বলছে, জরুরি সহায়তা হিসেবে এক হাজার টন প্যাকেট পাঠানো হয়েছে। এসব প্যাকেটে চাল, শুকনো মাছ ও কাপড় রয়েছে; যা রাখাইনের সমাজ সেবা মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ওই অঞ্চলে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তার মাঝেই রাখাইনে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে সামরিক হেলিকপ্টারে করে তুরস্কের এসব ত্রাণ সংঘাতপূর্ণ এলাকায় বিতরণ করা হবে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের মুখপাত্র ইব্রাহীম কালিন বলেন, মঙ্গলবার তুর্কিশ কো-অপারেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন অ্যাজেন্সিকে রাখাইনের রোহিঙ্গা মুসলিমদের মাঝে ত্রাণ সহায়তার অনুমতি দেয় মিয়ানমার সরকার।
রাখাইনের সাম্প্রতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির সঙ্গে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের টেলিফোনে অালোচনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে টিআইকেএ ত্রাণ বিতরণের অনুমতি দেয় নেইপিদো।
গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর প্রথমবারের মতো বিদেশি কোনো দাতা সংস্থাকে ওই অঞ্চলে প্রবেশের অনুমতি দেয় মিয়ানমার সরকার। জাতিসংঘ বলছে, রাখাইনের সাম্প্রতিক সহিংসতায় অন্তত দেড় লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে। এছাড়া আরো দেড় লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
আন্তর্জাতিক এ সংস্থার মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরাস নিরাপত্তা পরিষদের কাছে লেখা এক বিরল চিঠিতে রাখাইনে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় তৈরি হতে পারে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন।
সূত্র : আনাদোলু, রয়টার্স।
এসআইএস/পিআর