ইন্দোনেশিয়ায় মিয়ানমার দূতাবাসে ককটেল হামলা
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় মিয়ানমারের দূতাবাসে মলোতোভ ককটেল হামলা হয়েছে। রোববার গভীর রাতে মিয়ানমার দূতাবাস ভবনের দ্বিতীয় তলায় নিক্ষেপ করা ওই ককটেলের বিস্ফোরণে সামান্য অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। রোববার জাকার্তা পুলিশের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনার মাঝে ইন্দোনেশিয়ায় দূতাবাসে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে।
রোববার জাকার্তা পুলিশের এক বিবৃতিতে বলছে, দূতাবাসের পেছনের একটি সড়কে পুলিশের এক কর্মকর্তা টহল দেয়ার সময় মিয়ানমার দূতাবাস ভবনের দ্বিতীয় তলায় আগুন দেখতে পান। স্থানীয় সময় রাত দুইটা ৩৫ মিনিটের দিকে আগুন দেখতে পেয়ে তিনি দূতাবাসের সামনের ফটকে থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে সতর্ক করে দেন।
বিবৃতিতে ইন্দোনেশিয়া পুলিশ বলছে, আগুন নিভিয়ে ফেলার পর পুলিশ ওই স্থানে বিয়ারের ভাঙা বোতল পায়; এর মাথায় পলতা বাঁধা ছিল। এসময় ঘটনাস্থল থেকে এমপিভি গাড়িতে করে সন্দেহভাজন অজ্ঞাত হামলাকারী পালিয়ে যায়।
পুলিশের মুখপাত্র অারগো ইউওনো বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে জাকার্তা পুলিশ। দূতাবাসে হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে পারেনি।
এর আগে শনিবার দূতাবাসের কাছে একদল অ্যাক্টিভিস্ট মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির শান্তির নোবেল কেড়ে নেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনতারা বলছে, জাকার্তার প্রধান কেন্দ্রেও রোববার বিক্ষোভ করেছেন মানবাধিকার কর্মীরা। রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সমস্যা সমাধানে ইন্দোনেশিয়া সরকারকে সক্রিয় ভূমিকার রাখার দাবি জানিয়েছেন তারা।
মিয়ানমারের রাখাইনে ১১ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস হলেও দীর্ঘদিন ধরে তারা সেখানে নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। দেশটির নেত্রী অং সান সু চি রোহিঙ্গা ইস্যুতে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। তার নীরব ভূমিকার সমালোচনা করছেন পশ্চিমারা সমালোচকরা।
আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলো বলছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনের চেষ্টা চালাচ্ছে। গত সপ্তাহে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ৭৩ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স।
এসআইএস/এমএস