২ মামলা থেকে রেহাই ধর্মগুরু রামপালের
ধর্ষণ মামলায় ভারতীয় ধর্মগুরু রাম রহিম সিং ২০ বছরের সাজা পেলেও দুই মামলা থেকে রেহাই পেয়েছেন ভারতের আরেক স্বঘোষিত হিন্দু ধর্মগুরু রামপাল।
মঙ্গলবার হরিয়ানার হিসারের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রামপালের বিরুদ্ধে দুই ফৌজদারি মামলা খারিজ করে দেন।
তবে তার বিরুদ্ধে চলমান হত্যা মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। ফলে ২০১৪ সাল থেকে কারাভোগ করা হরিয়ানার বারোয়ালার সতলোক আশ্রমের প্রধান রামপালের আপাতত মুক্তি মিলছে না।
হরিয়ানার স্বঘোষিত ধর্মগুরু রামপালের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা ও অন্যায়ভাবে আটকে রাখার অভিযোগে পৃথক মামলা ছিল।
২০০৬ সালের একটি খুনের মামলায় তার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ২০১৪ সালে হরিয়ানার বারোয়ালায় সতলোক আশ্রম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এরআগে তিনি ৪৩ বার আদালতের সমন উপেক্ষা করেন। পরে ২০১৪ সালের নভেম্বরের শুরু থেকেই তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা শুরু করে পুলিশ। কিন্তু দুই সপ্তাহ ধরে আশ্রম ও এর আশপাশে তার সমর্থকদের বাধার কারণে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে পুলিশ ও রামপালের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। বাধ্য হয়ে আশ্রমের পানি, বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
১৮ নভেম্বর আশ্রম থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে সময় নারী ও শিশুদের ঢাল হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে রামপালের বিরুদ্ধে।
এছাড়া পরে আশ্রম থেকে ১ শিশু ও ৫ নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আহত হয় পুলিশ ও রামপালের ভক্ত-সমর্থকদের অন্তত ২০০ জন।
এরআগে গত সোমবার ২০০২ সালের নিজের আশ্রমে দুই শিষ্যাকে ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় সাজা পান হরিয়ানার বিখ্যাত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম। তাকে পৃথক দুই ঘটনায় ১০ বছর করে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এসআর/আইআই