ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিন : বাংলাদেশকে জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৬:৪০ এএম, ২৯ আগস্ট ২০১৭

মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে দেশটির সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক অভিযানে হতাহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরাস উদ্বেগ প্রকাশ করে রোহিঙ্গাদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়াতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

গত শুক্রবার রাখাইনে দেশটির নিরাপত্তাবাহিনীর ৩০টিরও বেশি পোস্টে একযোগে সশস্ত্র হামলা চালায় রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা। হামলায় ১২ পুলিশ ও ৮০ বিদ্রোহীসহ শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এর পর থেকেই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান শুরু করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।

রোহিঙ্গাদের শত শত গ্রামে অগ্নিসংযোগ, হেলিকপ্টার থেকে মর্টার শেল, গুলি নিক্ষেপ করা হচ্ছে। মিয়ানমার সরকারের এই অভিযানে বাংলাদেশের দিকে ছুটছেন হাজার হাজার রোহিঙ্গা।

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফানে ডুজারিক এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে বেসামরিক নাগরিক হতাহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরাস।’

‘সহিংসতায় পালিয়ে আসা বেসামরিক নাগরিকদের জন্য সহায়তা বাড়াতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানান গুতেরাস। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে; যাদের অনেকেই আহত।’

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা বলছে, মিয়ানমারের রাখাইনে নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন রাষ্ট্রবিহীন রোহিঙ্গারা। গত তিনদিনে তিন হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পৌঁছেছে।

মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ সীমান্তে হাজার হাজার রোহিঙ্গা পৌঁছেছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ। সীমান্তরক্ষীবাহিনী বিজিবি তাদের টহল বাড়িয়েছে। বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টাকারী রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাচ্ছে মিয়ানমারের দিকে।

আন্তর্জাতিক মানবাদিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, তারা স্যাটেলাইটে সংগৃহীত ছবিতে দেখেছেন, ঘনবসতিপূর্ণ অন্তত ১০টি এলাকায় রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে মিয়ানমারের নিরাপত্তাবাহিনী।

এদিকে ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে সোমবার রাখাইন সীমান্তে যৌথ সামরিক অভিযানের প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ এক কর্মকর্তা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশি ওই কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, মিয়ানমার যদি চায় তাহলে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তের এলাকাগুলোতে বিদ্রোহীসহ যেকোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী অথবা আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান পরিচালনা করবে বাংলাদেশ। তবে এবিষয়ে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূত কোনো মন্তব্য করেননি।

সূত্র: এএফপি।

এসআইএস/জেআইএম

আরও পড়ুন