সাজা ঘোষণার সময় ধর্ষক রাম রহিমের নাটক
দু’জন শিষ্যকে ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর সোমবার ভারতের ধর্ষক ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি জগদ্বীপ সিং। রাম রহিমের ১০ বছরের সাজা এবং ৬৫ হাজার রুপি জরিমানা করেন তিনি।
গত শুক্রবার ১৫ বছর আগের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন ৫০ বছর বয়সী রাম রহিম সিং। গুরমিত রাম রহিমের সর্বোচ্চ সাজার আবেদন করেছিল সিবিআই। অন্যদিকে, রাম রহিমের আইনজীবী লঘু শাস্তির আবেদন করেন।
অাইনজীবীর যুক্তি, যেহেতু বহু সামাজিক কাজে জড়িয়ে আছে রাম রহিমের নাম; সেকারণে লঘু শাস্তি দেয়া উচিত।
বিচারকের সামনে ক্ষমাও চান রাম রহিম। রাম রহিম হাত জোড় করে বলেন, ‘আমার ভুল হয়ে গেছে। আমাকে ক্ষমা করে দিন।’ কথাগুলো বলার সময় তিনি কেঁদেও ফেলেন।
শুক্রবার রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তার শিষ্যরা তাণ্ডব শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ৩৮ জন নিহত এবং ২৫০ জন আহত হয়। ৩২ জন পঞ্চকুলায় এবং সিরসায় ৬ জন নিহত হয়।
ঝামেলা এড়াতে রোহতকের কারাগারে বিচারক জগদীপ সিংকে হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই গ্রন্থাগারের মধ্যে আদালত বসে এবং সাজা ঘোষণা করেন বিচারক।
এক ঘণ্টা ধরে রায় ঘোষণার প্রক্রিয়া চলে। সিবিআই ও রাম রহিমের আইনজীবীদের ১০ মিনিট করে বক্তব্য রাখার সুযোগ দেন বিচারক।
রায় ঘোষণার পর রাম রহিমের আইনজীবীরা জানান, তারা হাইকোর্টে এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করবেন। রায় ঘোষণার পর দু’টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ করেন ডেরা সাচ্চা সওদার ভক্তরা।
আগে থেকেই সিরসার বিভিন্ন স্থানে জড়ো হয়েছিলেন তারা। ডেরা সাচ্চা সৌদার মাত্র এক কিলোমিটার দূরে সিরসার ফুলকান গ্রামে ওই দুটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার কারণে সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারেনি।
আগে থেকেই হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবের স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেয়া হয়, মোবাইলের নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিয়ে রোহতক কারাগারের বাইরে পাঁচ স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
বারনালার এসপি জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করেছি।
কেএ/আইআই