টাকার কুমির ধর্ষণে অভিযুক্ত রাম রহিম
শিষ্যাকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত ভারতের হিন্দু ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিমের অর্থ-সম্পদের পরিমাণ ও তার আয়ে নিয়ে এখন চলছে নানা বিশ্লেষণ।
তার প্রাসাদোপম ডেরায় রয়েছে অসংখ্য রত্ন, ধাতু, গহনা। দিন দিন জমছে অর্থের পাহাড়। উপার্জনের বিপরীতে কোনো ট্যাক্স দিতে হয় না বলে, প্রতিনিয়ত বাড়ছে সে অর্থের পরিমাণ।
রাম রহিমের আশ্রম ডেরা সচ্চা সৌদায় পৌরাণিক কাহিনীর ধন-দৌলতের মতো কলসে ভরা থাকে টাকা। সেইসঙ্গে পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় তার স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় কয়েকশো কোটি।
সর্বভারতীয় দৈনিক দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের খবর অনুযায়ী, ৩ বছর আগে দৈনিক রাম রহিমের ডেরার আয় ছিল ১৬ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩৩ টাকা। সেই দৈনিক আয় বেড়ে বর্তমানে প্রায় ১০ গুণে পৌঁছেছে।
দৈনিক জনসত্তার তথ্য অনুযায়ী, ২০১০-১১ সালে ডেরার বার্ষিক আয় ছিল ১৬ কোটি ৫২ লাখ ৪৮ হাজার ৪৫৫ টাকা। পরের বছরই তা লাফিয়ে বেড়ে হয় ২০ কোটি ২০ লাভ ৯৯ হাজার ৯৯৯ টাকা। ২০১২-১৩ সালে আয় বেড়ে পৌঁছে ২৯ কোটি ৮ লাখ ১৮ হাজার ৭৬০ টাকায়।
তার ওপর ভারতীয় আয়কর আইন অনুযায়ী সব রকমের ছাড় সুবিধা পায় রাম রহিম। তাকে আয়ের বিপরীতে কোনো আয়কর দিতে হয় না। ফলে দিনে দিনে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাম রহিম।
এদিকে, সিরসায় প্রায় এক হাজার একর আয়তনের জমির মাঝখানে এক বিশাল প্রাসাদ রাম রহিমের। পুরোটা আয়নায় মোড়া। নাম ‘বাবা কি গুফা’। দামি আসবাব, সোফা, পর্দা দিয়ে পরিপাটি করে সজ্জিত বিলাসবহুল এ প্রাসাদ। সেখানে তার সেবার জন্য রয়েছে ২০০ নারী ভক্ত। সেখানে তার কনভয়ে রয়েছে ১০০টি গাড়ি।
অন্যদিকে, রক্তদান শিবির ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের মতো জনকল্যাণমূলক প্রকল্পেও জড়িয়েছে ডেরার নাম। রাম রহিম নিজে অভিনয় ও পরিচালনা ছাড়াও আশ্রমের প্রযোজনায় বানিয়েছেন চারটি চলচ্চিত্র। তার নিজের একটি রেঞ্জ রোভার এসইউভি। এছাড়া যে ৩৬ জন ভিআইপিকে ভারতে ‘জেড’ ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়, গুরমিত রাম রহিম তাদের অন্যতম।
এসআর/এমএস