বাঁচানোর কিচ্ছু নেই আর
গেল সপ্তাহের শুরুর দিকে সিয়েরা লিওনে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৫০০ ছুয়েছে। রোববার পর্যন্ত ৬০০ নিখোঁজ রয়েছেন।
উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, কাউকে জীবিত উদ্ধারের আশা ধীরে ধীরে কমে আসছে। এরআগে মৃতের সংখ্যা বলা হয়েছিল ৪৫০।
ভারী বৃষ্টিপাতের পর সোমবার সুগার লোফ পর্বতের একটি অংশ ধসে পড়ে। এতে রাজধানী ফ্রিটাউনের উপকণ্ঠে রিজেন্ট শহরের বড় একটা অংশ চাপা পড়ে।
ওই ঘটনার নিহতদের জন্য রোববার দেশের গির্জাগুলোতে ছিল বিশেষ আয়োজন।
ভূমিধসের কারণে প্রায় ১০ হাজার মানুষ ঘড়ছাড়া হয়েছেন। ফ্রিটাউনে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস করছেন- এমন আরও ১০ হাজার লোককে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার।
পাহাড়ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে সেদিনের সেই চিত্রটা এখনও তরতাজা। বেকারি কন্টে নামে একজন আল-জাজিরাকে বলেছেন, খুব ভয়াবহ ছিল। আমার সবকিছু কেড়ে নিল। এখন আর বাঁচানোর কিচ্ছু নেই। আমি এখানে আর থাকতে চাই না। আমার খুব ভয় হচ্ছে।
বিভিন্ন দেশে ইতোমধ্যে ত্রাণ পাঠানো শুরুও করেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত একটি কমিউনিটিপ্রধান ফালমা সিলা বলেছেন, আমরা ক্ষুধার্ত, আমাদের ঘুমানোর জায়গা নেই, আমরা আমাদের পরিবার হারিয়েছি।
বিশেষজ্ঞরা বলঝেন, বৃষ্টি, বন ধ্বংস এবং জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকার কিছু এলাকায় ভূমি ধসের শঙ্কা বাড়ছে। বুধবার ভূমিধসের কারণে কঙ্গোতেও ব্যাপক প্রাণহানি ঘটেছে। আলজাজিরা বলছে, সেখানে প্রায় ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এনএফ/পিআর
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক
- ১ বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ৬, দেখামাত্র গুলির নির্দেশ
- ২ প্রথমদিনই চীন-মেক্সিকো-কানাডার ওপর বাড়তি শুল্ক বসাবেন ট্রাম্প
- ৩ চিন্ময় কৃষ্ণকে মুক্তি না দিলে সীমান্ত অবরোধের হুঁশিয়ারি বিজেপির
- ৪ লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় একদিনে ৩১ জন নিহত
- ৫ রাশিয়ার পক্ষে ছিলেন ম্যারকেল, করেছিলেন ন্যাটোতে ইউক্রেনের বিরোধিতাও