ক্রেনে ঝুলিয়ে গুলি চালিয়ে ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় জনসম্মুখে এক ধর্ষকের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। সোমবার রাজধানী সানার তাহরির স্কয়ারে ওই ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এনিয়ে গত দুই মাসে পর পর দুই ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড জনসম্মুখে কার্যকর করলো ইয়েমেন।
বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, শিশুকন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ২২ বছর বয়সী হুসেইন আল-সাকেত নামের এক ধর্ষককে জনতার সামনে ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। তাহরির স্কয়ারে ফাঁসি কার্যকরের সময় রাজেহ ইজ্জেদিন নামে দেশটির একজন বিচারক উপস্থিত ছিলেন।
সাকেতের বিরুদ্ধে সাফা মুহাম্মদ তাহির আল-মুতারিকে (৫) অপহরণ, ধর্ষণ এবং হত্যার পর মাটিতে পুঁতে রাখার অভিযোগ ছিল। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরই তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের রায় দেয় হুথি বিদ্রোহীরা। কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমে ধর্ষণের পর খুন হওয়া শিশুর বয়স পাঁচ বছর উল্লেখ করা হয়েছে।
সাকেতকে ফাঁসি দেয়ার ব্যাপারে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এবং আদালতের সদস্যদের উপস্থিতিতে রাজনৈতিক পরিষদের সভাপতির অনুমোদন ছিল। এছাড়া বিশেষ অপরাধ আদালত এবং ভিকটিমের পরিবারের সম্মতি ছিল।
২০১৫ সালের ৯ নভেম্বর নির্জন এলাকা থেকে নাবালিকা সাফাকে অপহরণ করে ধর্ষণের পর তার মরদেহ পুঁতে রাখে সাকেত। ২০১৪ সাল থেকে হুথি বিদ্রোহীদের দখলে থাকা সানার তাহরির স্কয়ারে এতোদিন পর এসে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
সেখানে সাকেতের হাত-পা বেঁধে ক্রেনের সঙ্গে ঝুলিয়ে জনতার সামনেই একজন পুলিশ সদস্য তার শরীরে পাঁচটি গুলি চালিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
চলতি বছরের ৩১ জুলাই আরেকজনকে একই স্থানে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ ছিল। দুই সপ্তাহের মধ্যে দেশটিতে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে দু’জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো।
সূত্র : আল-আরাবিয়া, মিডল ইস্ট মনিটর।
কেএ/আরআইপি