সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিয়ে কথা রাখলেন মোদি
ভারতের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের ভাষণ সংক্ষিপ্ত করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা রাখলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত চার বছরের মধ্যে এবছরই প্রথম সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিয়ে নিজের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলেন তিনি।
মঙ্গলবার ভারতের এই প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ শেষ করেছেন ৫৪ মিনিটে। গত বছর তিনি স্বাধীনতা দিবসে ৯৪ মিনিট ভাষণ দিয়েছিলেন। এর আগের বছর ৮৬ মিনিট এবং ২০১৪ সালে ৬৫ মিনিটে তার ভাষণ শেষ হয়। এবছর তিনি দেশবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ৫০ মিনিটের মধ্যে তার বক্তব্য শেষ করবেন।
গত মাসে দেশটির রেডিও অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’ এ মোদি বলেছিলেন, তার কাছে প্রচুর চিঠি এসেছে। সেখানে অনেকেই অভিযোগ করে বলেছেন, তার স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতা প্রয়োজনের চেয়ে একটু বেশিই লম্বা। সেই অনুষ্ঠানেই তিনি প্রতিশ্রুতি দেন বক্তব্য এবছর যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত হবে।
এবিপি আনন্দ বলছে, ২০১৪ সাল থেকে লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসে ভাষণ দিচ্ছেন মোদি। প্রত্যেক বছর কার্যত তার ভাষণের দৈর্ঘ্য বেড়েই চলছিল। এ বছরই একটু ব্যতিক্রমি ভাষণ দিলেন তিনি।
মঙ্গলবারের ভাষণের পর জনগণের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে একটি অনলাইনে একটি লিঙ্ক পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে। ইতোমধ্যে আট হাজার প্রতিক্রিয়া পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর।
এবারের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মোদি আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দুর্নীতিমুক্ত, জাত-ধর্মহীন এক নতুন ভারত গড়ার ডাক দিয়েছেন। সেই পথে কীভাবে এগিয়ে যেতে চান তিনি ও তার সরকার, সেকথাও মোদির ভাষণে উঠে এসেছে।
উল্লেখ্য, মোদির পূর্বসুরী মনমোহন সিং তার মেয়াদে দশটি স্বাধীনতা দিবসে ভাষণ দিয়েছিলেন। এর কোনো ভাষণই ৫০ মিনিটের বেশি দীর্ঘ নয়। ২০০৫ এবং ২০০৬ সালে ৩২ থেকে ৪৫ মিনিটের মধ্যে তিনি বক্তব্য শেষ করেছিলেন।
তবে মোদির দলের সদস্য এবং বিজেপির প্রথম প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী ৩০ থেকে ৩৫ মিনিটের বেশি স্বাধীনতার বক্তৃতা টানতেন না। ২০০২ সালের অাগাস্টে বাজপেয়ী ২৫ মিনিটের মধ্যে বক্তব্য শেষ করেছিলেন।
এসআইএস/আইআই